ঢাকা, সোমবার ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ | এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হচ্ছে না মোশাররফের


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ১২:১২ এএম, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট:   ১২:১২ এএম, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২০  
স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হচ্ছে না মোশাররফের
স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হচ্ছে না মোশাররফের

তৃতীয়বারের মতো একসঙ্গে সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন মোশাররফ করিম এবং তাঁর স্ত্রী রোবেনা রেজা জুঁই। তবে এবারও একসঙ্গে পর্দায় দেখা যাবে না এই দম্পতিকে। একই ছবিতে স্বামীর সঙ্গে মুখোমুখি না হলেও অভিনয় করতে পেরে আফসোস ঘুচেছে জুঁইয়ের। 

মোশাররফ–জুঁইকে এক নাটকে দেখতে পছন্দ করেন দর্শকেরাও। বেশ কিছু একক এবং ধারাবাহিক নাটকে একত্রে দেখা গেছে তাঁদের। একসময় জুঁইয়ের ইচ্ছা করে চলচ্চিত্রে কাজ করতে। সেই সুযোগ আসে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘টেলিভিশন’ ছবির মধ্য দিয়ে। তবে সেই ছবিতে মোশাররফ করিমের সঙ্গে তাঁর কোনো দৃশ্য ছিল না। পরে তাঁরা অভিনয় করেন তৌকীর আহমেদের ‘অজ্ঞাতনামা’ ছবিতে। সেখানেও স্বামী–স্ত্রীকে একত্রে দেখা যায়নি। একসঙ্গে বড় পর্দায় অভিনয়ের আফসোস বাড়তেই থাকে জুঁইয়ের। সম্প্রতি তাঁরা কাজ শুরু করেছেন ‘গাঙকুমারী’ ছবিতে। সেখানে গাঙকুমারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবাগত তুরা। তাঁর মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন জুঁই। ছবির চরিত্র প্রসঙ্গে জুঁই বলেন, ‘আগের দুটি ছবিতে অভিনয়ের সময় প্রস্তুতির সুযোগ পাইনি। হঠাৎ করেই যুক্ত হয়েছিলাম। এই ছবির জন্য অনেক আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছি। চরিত্রটি গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য মানসিকভাবেও নিজেকে তৈরি করতে হয়েছে। নিজেই ৩০ বছর আগের কস্টিউম সংগ্রহ করেছি।’

জুঁই অভিনয় শুরু করেন প্রায় এক দশক আগে। তাঁর অভিনয়ে আসার গল্পটাও মজার। স্বামী মোশাররফ করিম মাসের প্রায় ৩০ দিন শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকতেন। ঘুমানোর সময় ছাড়া খুব বেশি দেখা হতো না দুজনের। সে জন্য স্বামীর ব্যস্ততায় ভাগ বসাতেন তিনি। প্রায়ই খাবার রান্না করে নিয়ে গিয়ে ঢুঁ মারতেন শুটিং সেটে। একসময় তিনি শুটিংয়ের সবার কাছে পরিচিতি পেয়ে যান। সেখানে একসময় অভিনয়ের প্রস্তাব পান তিনি। শুরুর দিকে সেসব আমলে না নিলেও স্বামীর সঙ্গে থাকার সুযোগ হবে ভেবে এক সময় যুক্ত হন অভিনয়ে। এই দম্পতি প্রথম একসঙ্গে অভিনয় করেন নাসির আল মুনিরের পরিচালনায় ‘সিমিলার টু’ নাটকে। প্রথম দিকে অনিয়মিত অভিনয় করলেও দিন গড়ালে অভিনয়ের প্রতি তাঁর ভালো লাগা বাড়তে থাকে। মোশাররফ ছাড়াও বিভিন্ন অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে কাজ বাড়তে থাকে।

ছবিটির জন্য প্রায় তিন মাস ধরে সুনামগঞ্জের ভাষা শিখতে হয়েছে জুঁইকে। জানালেন, প্রথমে চিত্রনাট্যে ছিল কিশোরগঞ্জের ভাষা। এই ভাষাতেই তিন দিন স্ক্রিপ্ট রিডিং করেছেন। ছবিটির অন্যতম একটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন তারিক আনাম খান। এই অভিনেতাই সবাইকে গ্রুমিং করিয়েছেন। জুঁই জানান, চিত্রনাট্য পাওয়ার পর চরিত্র নিয়ে কে কী ভাবছেন, সেটা বলতে হয়েছে তারিক আনাম খানকে। কয়েক দফায় সবাই মিলে এক্সপ্রেশনসহ ডামি অভিনয়ও করেছেন।

হাওরের ঘের দখল এবং জেলেজীবনকে কেন্দ্র করে গাঙকুমারীর গল্প। এখানে মোশাররফ করিমকে দেখা যাবে খলচরিত্রে। ছবিটি ২০১৯–২০ সালে সরকারি অনুদান পায়। সাধনা আহমেদের চিত্রনাট্যে ছবিটি পরিচালনা করছেন ফজলুল কবির।

আপনার মন্তব্য লিখুন...