ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪  |  Tuesday, 19 March 2024  |  এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

শেষ ১৫ দিনে বিসিএস প্রিলিতে যা করবেন


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ০৩:০৪ এএম, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট:   ০৩:০৪ এএম, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৯  
শেষ ১৫ দিনে বিসিএস প্রিলিতে যা করবেন
শেষ ১৫ দিনে বিসিএস প্রিলিতে যা করবেন

দেখতে দেখতে চলে আসতেছে ৪০তম প্রিলি পরীক্ষা। আর অল্প যে কয় দিন আছে সেই দিনগুলো কিভাবে পড়লে সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে পারেন তারই প্রয়াস এ এই পোস্ট আপনাদের জন্য। 

নিচের পরামর্শ গুলো দেখুন কাজে দিবে - 

বিসিএস / ব্যাঙ্ক সহ সরকারি / বেসরকারি ও অন্যান্য চাকরির প্রস্তুতির কিংবা সফল ব্যাক্তিদের উৎসাহমূলক সাফল্য গাঁথা জানতে ভিসিট করুন http://tiny.cc/ghpz4y

১)একটা ভাল মডেল টেস্টের গাইড কিনে প্রতিদিন ৩ সেট করে মডেল টেস্ট দিন। সকাল, বিকাল, রাতে। প্রতি সেট প্রশ্নের উত্তর দাগাতে সময় নেবেন বড়োজোর দেড় ঘণ্টা। কারণ, পরীক্ষার হলে আপনাকে বৃত্ত ভরাট করতে হবে, সেটাতে কিছু বাড়তি সময় লাগবে। তাছাড়া পরীক্ষার হলে টেনশনও কাজ করবে, যা আপনার বৃত্ত ভরাটের গতিকে কিছুটা হলেও মন্থর করে দিতে পারে। বাকি সময়টা রিভিশন দিন ইংরেজি, বাংলা,অংক।

২) পরীক্ষা নিয়ে টেনশনে থাকাটা একটা চমৎকার গুন। ব্যাপার না! এই ১৫ দিন পারতপক্ষে আপনার পড়ার রুম থেকেই বের হবেন না।

৩) খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কারোর ফোনই রিসিভ করবেন না। কেউ অসুস্থ হলে, কিংবা আপনার একেবারেই কাছের কেউ অতি প্রয়োজনে ফোন করলে রিসিভ করবেন। আপনার প্রেমিকা অন্য কারোর হাত ধরে পালিয়ে যাচ্ছে? যেতে দিন। ও পরে এমনিতেই পালাত। 

বিসিএস / ব্যাঙ্ক সহ সরকারি / বেসরকারি ও অন্যান্য চাকরির প্রস্তুতির কিংবা সফল ব্যাক্তিদের উৎসাহমূলক সাফল্য গাঁথা জানতে ভিসিট করুন http://tiny.cc/ghpz4y

প্রেমিকা পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর স্বাভাবিক চিরন্তন দৃশ্যগুলির একটি। যত আগে পালায়, ততই মঙ্গল। শুকরিয়া! এ কদিন এসব নিয়ে ভাববার সময় নেই আপনার। কারোর সাথে নিতান্ত জরুরি না হলে দেখা করারও দরকার নেই। দরোজা জানালা বন্ধ করে পড়াশোনা করলেই তো বেটার, তাই না?

৪)মোবাইল ফোন, টিভি, ফেসবুক, ইমো, ভাইবার, হোয়াটসআপ এসবকে এই ১৫ দিন এড়িয়ে যান , নিষ্ঠুর পৃথিবী বেকারদের মিষ্টি মুচকি হাসিও সহ্য করে না।


৫) ভাল ১টা প্রিলির ডাইজেস্ট পুরোটা খুব দ্রুত পড়ে ফেলুন। বিভিন্ন প্রিলি স্পেশাল সংখ্যা সলভ করুন। ১টা জব সল্যুশন রিভিশন দিন। আগে থেকে দাগানো কঠিনগুলো একনজর দেখে নিন। বলতে পারেন, প্রশ্ন যদি গতানুগতিক ধাঁচের না হয়, তবে? প্রশ্ন সহজ হবে, কী কঠিন হবে, এ নিয়ে ভাবা মানেই স্রেফ সময় নষ্ট করা। প্রশ্ন সহজ বা কঠিন হওয়ার উপর তো আপনার হাত নেই। যেটার উপর আপনার কোনো হাত নেই, সেটা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট না করে পড়াশোনা করুন। কঠিন হলে সবার জন্যই কঠিন, সহজ হলে সবার জন্যই সহজ। সবার যে গতি, আপনারও একই গতি।

৬) বিষয় ধরে ধরে নয়, প্রশ্নের সেট ধরে ধরে পড়ুন। কীরকম? ধরুন, আপনি বাংলা পড়বেন। ঠিক আছে, পড়ুন। কিন্তু শুধু বাংলাই পড়তে থাকার মতো সময় এখন আর নেই। এতে কোনো না কোনো বিষয়ের উপর কম জোর দেয়া হয়ে যেতে পারে। আপনি এই সময়টাতে জব সল্যুশন, প্রিলি ডাইজেস্ট, আর প্রশ্ন ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ প্রশ্নের সেট ধরে যত বেশি সংখ্যক সম্ভব, তত বেশি সংখ্যক প্রশ্নের সেট পড়ে ফেলুন।

বিসিএস / ব্যাঙ্ক সহ সরকারি / বেসরকারি ও অন্যান্য চাকরির প্রস্তুতির কিংবা সফল ব্যাক্তিদের উৎসাহমূলক সাফল্য গাঁথা জানতে ভিসিট করুন http://tiny.cc/ghpz4y

আলোচনা অংশ পড়বেন না। দরকার নেই। বেশি বেশি প্রশ্নের সেট পড়ে ফেললে, আপনি দেখবেন, কিছু কিছু প্রশ্ন বারবার আসে। সেগুলি বারবার দেখতে দেখতে মাথায় সেগুলির একটা ছাপ তৈরি হয়ে যায় আপনা আপনিই। কোনো বিষয়ের উপর আলাদা করে সময় দেয়ার দরকার নেই। কেউ যদি ওটা করেন, তবে আপনি সুষম প্রস্তুতি নিতে পারবেন না।

৭) সাধারণ জ্ঞানে জোর দিন সবচাইতে কম। যদি কমন প্রশ্ন আসে, এমনিতেই পারবেন। যদি একেবারে উদ্ভট আনকমন প্রশ্ন আসে, যতই প্রস্তুতি নিন না কেন, পারবেন না। অথচ, ম্যাথস্, ইংরেজিসহ আরও কিছু টপিক আছে, যেগুলিতে বেসিক ভাল হলে, প্রশ্ন কঠিন হলেও সঠিক উত্তর করা সম্ভব। এই ১৫ দিনে পেপার পড়ার আর খবর শোনার কোনো দরকার নাই।

৮) যে প্রশ্নগুলি বেশিই কঠিন, বারবার পড়লেও মনে থাকে না, সেগুলিকে নিজগুণে বাদ দিন। সহজ প্রশ্ন মাথায় সুন্দর, কঠিন প্রশ্ন বইয়ে। একটা অতি কঠিন প্রশ্ন মনে রাখার চেষ্টা ৫টা সহজ প্রশ্নকে মাথা থেকে বের করে দেয়। মার্কস তো একই, কী দরকার? ১ নম্বরের মোহে ৫ কিংবা ৭.৫
নম্বর হারানোর বিলাসিতা করার সময় এখন নয়।


৯) কনফিউজিং প্রশ্ন দাগাবেন কিনা? বেশি কনফিউজড গুলো দাগাবেন না। দুটোর মধ্যে একটার সম্ভাবনা থাকলে ২০/৩০ টা দাগাতে পারেন।প্রশ্নগুলি ভুল থাকে, সেগুলি দাগালেও নম্বর পাবেন, না দাগালেও নম্বর পাবেন। পিএসসি সেগুলি বাদ দিয়ে খাতা দেখে, মানে সেগুলিতে সবাইকেই অ্যাভারেজ নম্বর দিয়ে দেয় বলেই জানি। কিছু প্রশ্নের একাধিক উত্তর থাকে। সেগুলিতে কী করবেন? যেকোনো একটা সঠিক উত্তর দাগালেই নম্বর পাবেন। ভুল উত্তর কিংবা একাধিক উত্তর আছে, এমন প্রশ্ন পিএসসি কেন দেয়? ওরা অসতর্ক দায়িত্বজ্ঞানহীন উদাসীন বলে? কোনোভাবেই না! এগুলি দেয়াই হয় ইচ্ছে করে, আপনাকে কনফিউসড আর নার্ভাস করে দেয়ার জন্য। আপনি কনফিউসড আর নার্ভাস হয়ে যাওয়ার মানেই হলো, আপনার কনফিডেন্স কমে যাওয়া।

বিসিএস / ব্যাঙ্ক সহ সরকারি / বেসরকারি ও অন্যান্য চাকরির প্রস্তুতির কিংবা সফল ব্যাক্তিদের উৎসাহমূলক সাফল্য গাঁথা জানতে ভিসিট করুন http://tiny.cc/ghpz4y

আর এর মানেই হলো, ওই ২ ঘণ্টা আপনার নয়! প্র্যাকটিস তো সবাইই করে, কিন্তু ফিল্ডে থাকার সময়টা অন্য কারোর হয় না, মেসির বা রোনালদোরর হয়। কেন? প্রিপারেশনের জন্য? স্কিলের জন্য? না।কনফিডেন্স আর টেকনিকের জন্য। ফিল্ডে সেই রাজা, যে রাজার মতো খেলতে পারে। ওরকম করে খেলতে হলে রাজার হৃদয়ের দরকার হয়।

১০) কে কী পড়ছে, কী কী প্রশ্ন পড়া উচিত, এসব ফালতু খবর নেয়ার দরকার নাই। আপনি এই ১৫ দিনে বিসিএস নিয়ে কারোর সাথেই একটি কথাও বলবেন না। কে কী করছে, তাতে আপনার কী? দিনশেষে আপনার সকল সফলতা আর ব্যর্থতার দায়ভার সম্পূর্ণই আপনার নিজের। তাই নিজেই তৈরি হন ১৫ দিনে ১৫ ঘন্টা করে মোট ২২৫ ঘন্টা।।

একদিকে পরিকল্পনা,ধৈর্য, পরিশ্রম আর অন্যদিকে ভাগ্য বিসিএস নামক মুদ্রার দুই পিঠ। A good planning, patience, & labour are 50% of achievement, the rest is luck. so best of luck.

আপনার মন্তব্য লিখুন...