ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪  |  Tuesday, 19 March 2024  |  এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ : নাগরিক ভাবনা


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ১০:০৪ পিএম, শনিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট:   ১০:০৪ পিএম, শনিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৮  
সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ : নাগরিক ভাবনা
সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ : নাগরিক ভাবনা

বর্তমান বিশ্বে মূল্যবোধ ও নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। সমাজসংস্কৃতির বিকাশে সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিতকরন, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, অভিভাবকশ্রেণীদের পর্যাপ্ত নৈতিকতা বিষয়ক জ্ঞান, ধর্মীয় চর্চার সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে আমরাবিকাশ ঘটাতে পারি মানবিক ও নৈতিক গুণাবলির আর একজন সৎ নিষ্ঠাবান নৈতিকগুণাবলি সম্পন্ন মানুষ কখনোই সন্ত্রাস জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দিবেনা এটা নিশ্চিত। সরকারেরপ্রশাসন কখনোই একা সন্ত্রাস -জঙ্গিবাদ ও মাদক সন্ত্রাস নির্মূল করতে পারেনা, সেজন্যদরকার সুনাগরিকের সচেতন মনোভাব। 

আমরা যদি আমাদের সমাজকে পরিবর্তন করতে চাই, তবে সবার আগে সঠিক তথ্য উপস্থাপন, সন্ত্রাসের ভয়াবহ দিক উপস্থাপন, সন্ত্রাসের ভয়াবহ দিক,ভাল মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে সঠিক ঐতিহাসিক জ্ঞান এবং সন্ত্রাস -জঙ্গিবাদ ও মাদকবিরোধী সেমিনার বা কতিপয় ক্ষেত্রে পাঠদানের ব্যবস্থা যদি গ্রহণ করা যায় তবে আমাদের প্রজন্ম হবে সোনার মানুষ আর সোনার মানুষরাই গড়বে সোনার বাংলা। আমাদের প্রাণের নেত্রী মাদার অফ হিউম্যানিটি বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যখন সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন তখন সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী। সন্ত্রাসী আক্রমণের শিকার হচ্ছে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ থেকে ছাড় পাচ্ছে না পশ্চিমা উন্নত দেশগুলোও। 

সেক্ষেত্রে সারা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী বিশেষ অভিযান গুলোতে ঈর্ষান্বিত সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের পুলিশ -র‍্যাবসহ যৌথ বাহিনী। জননেত্রী'র কঠোর অবস্থান থাকা স্বত্বেও ষড়যন্ত্রকারীরা বিভিন্ন অপকৌশলে জানান দিচ্ছে তাদের অস্বিত্বের।। জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা যেমন ধর্মীয় ব্যাখ্যার অপপ্রয়োগ, অশিক্ষিত ও অজ্ঞ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতির দূর্বলতার সুযোগে ঘটে তার বিপরীতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলোতে সঠিক ধর্মীয় চর্চা ও সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পূর্ণাঙ নজরদারিতে আনয়ন,ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সন্ত্রাস -জঙ্গিবাদ বিরোধী বিভিন্ন প্রোগ্রাম, কার্টুন ও চলচ্চিত্র নির্মাণ সহ অন্যান্য কার্যক্রম ব্যবস্থা সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়ক।

পাড়ায় পাড়ায়- মহল্লায় মহল্লায় সন্ত্রাস -জঙ্গিবাদ বিরোধী কমিটি গঠন, সামাজিক হৃদ্রতা বৃদ্ধি,সাংস্কৃতিক বলয় তৈরি, সুষ্ঠ পরিকল্পনা,জীবনমান বৃদ্ধিসহ, ঐক্যবদ্ধ সামাজিক প্রতিরোধ ছাড়া এ বিষবাপ দূর করা সম্ভব না। ২০০১-০৫ সালের বিএনপি- জামাতের অপশাসন, জঙ্গি পৃষ্ঠপোষকতায় সারা দেশে যে ভয়াবহ জঙ্গি উত্থান ঘটেছিল তারই ধারাবাহিতায় আমরা দেখেছি শায়খ আব্দুর রহমান -বাংলা ভাই-মুফতি হান্নানসহ অসংখ্য জঙ্গিদের ভয়ংকর সে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কথা। 

আমরা হারিয়েছি সন্ত্রাসী হামলার শিকার আহসান উল্লাহ মাষ্টার কে, এস এম কিবরিয়া, অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ কে,ততঃ পরবর্তী তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ মদদে ২০০৪ সালের সেই লোমহর্ষক গ্রেনেড হামলার কথা, সেদিন ঐ সন্ত্রাসী -জঙ্গিবাহিনী হত্যা করতে চেয়েছিল মানবতার মা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা'কে। সেদিনের সে ভয়াবহ হামলায় আমরা হারিয়েছি আইভি রহমানসহ অসংখ্য দেশপ্রেমিক জনতাকে। সে কুচক্রী মহল এখনো তৎপর যারা এদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে রোধ করতে চায়,চায় স্বাধীনতার মান ক্ষুন্ন করতে। আপনারা জানেন তারা স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের করেছিল পুনর্বাসিত দিয়েছিল ক্ষমতার মসনত। সেই পাকিস্তানি প্রেত্মাতার দল এখনো ষড়যন্ত্রের জাল বুনে চলছে।

আপনারা জানেন ২০১৩-১৪ সালের গণতন্ত্রের নামে ভয়াল পেট্রোল বোমা হামলার কথা,যে হামলায় ঐ সন্ত্রাসী দল রেহায় দেয় নি নারী -শিশু সহ আপামর জনতাকে।সে চিত্র চোখের সামনে ভেসে উঠলে এখনো চোখের জল আটকিয়ে রাখা যায় না। দেশরত্নের সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় সারা বিশ্বের বিস্ময় ঠিক তখনই গুলশানের হলি আর্টিজেনে ভয়ংকর জঙ্গি হামলা সে প্রেতাত্মাদেরই নীলনকশা। সুতরাং আসুন আমরা শপথ গ্রহণ করি সন্ত্রাস -জঙ্গিবাদের ঠিকানা বাংলাদেশে হবেনা। মৌলবাদ -জঙ্গিবাদ নিপাত যাক নিপাত যাক।


 জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

লেখক :  আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম।

উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ

আহবায়ক বিশ্ব সন্ত্রাস বিরোধী সংগঠন

ময়মনসিংহ বিভাগ।

অন্যান্য থেকে আরও পড়ুন

সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ নাগরিক ভাবনা

আপনার মন্তব্য লিখুন...