সারী, লোভার পানি আবার বাড়ছে
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ০৩:০৭ পিএম, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০ আপডেট: ০৩:০৭ পিএম, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০
সিলেটে সীমান্ত নদী হিসেবে পরিচিত সারী ও লোভার পানি আবার বাড়ছে। এ দুই নদীর পানি বাড়ায় আজ সোমবার সকাল থেকে সুরমা নদীর একটি পয়েন্টে পানি বেড়েছে।
দৈনিক পানির স্তর-সম্পর্কিত তথ্যে (ডেইলি ওয়াটার লেভেল ডেটা) এ কথা জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার।
ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা সারী নদীর উৎসমুখ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখাল। সারীর দুটি সংযোগ রয়েছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায়। একটি জৈন্তাপুরের লালাখাল, অন্যটি জাফলংয়ের গোয়াইন-পিয়াইন-ডাউকীর সঙ্গে। সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, সিলেট সদর উপজেলা হয়ে সারী চেঙ্গরখাল নদের মাধ্যমে মিলিত হয়েছে সুরমা নদীতে। লোভা নদীর উৎসমুখ কানাইঘাট উপজেলার লোভাছড়া এলাকায়। এ নদী সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের কাছে মিলিত হয়েছে।
এর আগে ১৯ জুলাই সারী নদীর পানি বাড়ছিল। এরপর লোভার পানিও বাড়ছিল। সারী-লোভার পানি বাড়ায় সিলেট অঞ্চলের প্রধান দুটি নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানিও বাড়ছিল। তিন দিন পর সারী ও লোভার পানি কমতে শুরু করে।
পাউবোর দৈনিক পানির স্তর-সম্পর্কিত তথ্যে দেখা গেছে, সারী নদীর পানি সারীঘাট পয়েন্টে পরিমাপ করা হয়। সেখানে পানির বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৩৫ মিটার। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ছয়টায় সারীর পানি ১০ দশমিক ৩৪ মিটার থেকে কমে আজ সকাল ছয়টায় ১০ দশমিক ২৫ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর দুই ধাপে পানি বেড়েছে। সকাল নয়টায় ১০ দশমিক ২৯ মিটার থেকে বেড়ে দুপুর ১২টায় ১০ দশমিক ৩৫ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল সারীর পানি।
একইভাবে কমে আবার বেড়েছে লোভা নদীর পানি। গতকাল সন্ধ্যায় ১৩ দশমিক ৫৭ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। আজ সকাল ছয়টায় লোভার পানি আরও এক ধাপ কমে ১৩ দশমিক ৪৯ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। সারীর মতো লোভা নদীর পানি বাড়ে একই সময়ে, সকাল নয়টায়। সকাল নয়টায় ১৩ দশমিক ৫৩ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। দুপুরে অবশ্য এক ধাপ কমেছে। দুপুর ১২টার পরিমাপ অনুযায়ী লোভার পানির স্তর ছিল ১৩ দশমিক ৫২ মিটার।
সারী ও লোভার পানি বাড়ায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বাড়ছে। গতকাল সন্ধ্যায় ১২ দশমিক ৪৭ মিটার থেকে নেমে পানির স্তর ১২ দশমিক ৩৭ মিটার হয়েছিল। সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ১২ দশমিক ৩৮ মিটার দিয়ে সুরমার পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
সুরমার কানাইঘাট পয়েন্ট ছাড়া সিলেট শহর পয়েন্টে পানি কমছিল। তবে কুশিয়ারা নদীর বিপৎসীমার ওপর থাকা ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি ৯ দশমিক ৯১ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ফেঞ্চুগঞ্জে পানির বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ মিটার। এ ছাড়া, কুশিয়ারার অমলসিদ, শেওলা, শেরপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।