ঢাকা, সোমবার ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ | এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

মাঝে মাঝেই এ রকম ছবি দেব


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ০২:০৮ এএম, সোমবার, ২৪ আগস্ট ২০২০   আপডেট:   ০২:০৮ এএম, সোমবার, ২৪ আগস্ট ২০২০  
মাঝে মাঝেই এ রকম ছবি দেব
মাঝে মাঝেই এ রকম ছবি দেব

হঠাৎ করেই আজ সকালে ফেসবুকের দুনিয়ায় ভেসে উঠল একটা ছবি। ছবিটা অভিনয়শিল্পী ও সংগীতশিল্পী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার। বিয়ের পর বলতে গেলে এই প্রথম সীমানা পেরিয়ে শ্বশুরবাড়ি ভারতের কলকাতায় গিয়ে সংসার পেতেছেন মিথিলা। মিথিলার ভাষায়, ভালোবাসার টানে একরকম ‘যুদ্ধ’ করে পৌঁছাতে হয়েছে জীবনসঙ্গী সৃজিত মুখার্জির কাছে। সেখান থেকেই ছবিটা পোস্ট করেছেন তিনি।

পরনে নীল শাড়ি। বেগুনি, সাদা জরির পাড়। অনেকটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাসের নায়িকার মতো। কিন্তু ক্যাপশনে আবার জীবনানন্দ দাশের কবিতা, ‘সব পাখি ঘরে আসে, সব নদী—ফুরায় এ জীবনের সব লেনদেন, থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।’

১৪ ঘণ্টায় এই ছবির নিচে লাইক ৮১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মন্তব্য হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি। শেয়ারও হয়েছে হাজারখানেক বার। সব মিলিয়ে সাড়া জাগানো ছবিটি আজকের দিনের বিনোদন অঙ্গনের অন্যতম আলোচ্য বিষয়। হোয়াটসঅ্যাপে আলাপের শুরুতেই জানতে চাইলাম ছবিটির বিষয়ে। মিথিলা বললেন, ‘আসলে ছবিটি তোলা ঢাকায়। কলকাতায় আসার আগে বেশ কিছু ফটোশুট করেছিলাম। আর জীবনানন্দ দাশ আমার প্রিয় কবি। ছবিটার সঙ্গে ক্যাপশনটা কল্পনা করে ভালো লাগল। তাই শেয়ার করলাম। এখানে তো ১৪ দিন আগে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকব। বাইরে বেরোনো হচ্ছে না। তাই মাঝে মাঝে এ রকম ছবি দেব ভাবছি।’

১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে কলকাতা যাওয়ার পর নতুন সংসারে রাইসকুকার, হ্যাঙ্গার টুকিটাকি কিছু কিনতে হয়েছে। মিথিলার চলে যাওয়া জন্মদিন উপলক্ষে সৃজিত মিথিলাকে দিয়েছেন একটা গিটার। আর আইরাকে কিনে দিয়েছেন কি–বোর্ড। সৃজিতের জন্য মিথিলা নিয়ে গিয়েছিলেন পাঞ্জাবি, পাঞ্জাবির গায়ে সুকুমার রায়ের ছড়া লেখা। সঙ্গে এটাও বললেন, ‘সৃজিতের জন্য আমরাই তো সবচেয়ে বড় উপহার।’

একসঙ্গে সংসার করলে কী হবে, তিনজনেরই দিন কাটছে নিজস্ব ব্যস্ততায়। মিথিলা আছেন অনলাইনে অফিস আর লেখাপড়া নিয়ে। আইরাকে অনলাইন স্কুলে বসানো, পড়ানো, গোসল করানো, গান শেখানোও চলছে। সৃজিত আছেন বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট নিয়ে। চিত্রনাট্য লেখার পাশাপাশি চলছে একের পর এক জুম মিটিং, কাস্টিং। করোনাকাল পেরোলেই শুরু হবে শুটিং। আর সামনেই আসবে সৃজিত পরিচালিত ফেলুদা।

আপাতত শাশুড়ির হাতের রান্না খাচ্ছেন মিথিলা। মাঝেমধ্যে খাবার অর্ডারও দেন। সোমবার সকালে মিথিলারা নাশতা করেছেন ঘরে বানানো স্যান্ডউইচ দিয়ে। আর আজ দুপুরে জীবনে প্রথমবারের মতো রান্না করেছেন সৃজিত। আজ তাই মিথিলার বড়ই খুশির দিন।

বাংলাদেশি অভিনয়শিল্পী মিথিলার সঙ্গে ভারতের পরিচালক সৃজিতের রেজিস্ট্রি বিয়ে হয় গত বছরের ৬ ডিসেম্বর। এরপর কলকাতা শহরে এ বছরের ২৯ এপ্রিল বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন...