ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪  |  Tuesday, 16 April 2024  |  এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

বাংলাদেশকে নিজের দেশ মনে করেই বিনিয়োগ করুন


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ০৯:০৩ এএম, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩   আপডেট:   ০৯:০৩ এএম, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩  
বাংলাদেশকে নিজের দেশ মনে করেই বিনিয়োগ করুন
বাংলাদেশকে নিজের দেশ মনে করেই বিনিয়োগ করুন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের যাত্রাকে মসৃণ করতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য বিশ্বের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা আসুন, বিনিয়োগ করুন, বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত আপনাদের আগমনের জন্য। বাংলাদেশকে নিজের দেশ মনে করেই বিনিয়োগ করুন।’ প্রধানমন্ত্রী আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সহযোগিতায় (বিডা) এফবিসিসিআই এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ী নেতাদের স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ আয়ের উন্নত, সমৃদ্ধ এবং উদ্ভাবনী স্মার্ট দেশ হিসেবে বিনির্মাণের জন্য আমাদের অভিযাত্রায় যুক্ত হতে আমি আপনাদের উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’

বাংলাদেশ এখন ২০২৬ সাল নাগাদ এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য পাঁচ বছর প্রস্তুতিমূলক সময় পার করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ আমাদের দেশের জন্য একই সঙ্গে অবারিত সুযোগ সৃষ্টি করবে, আবার অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমরা কঠোর বাণিজ্য প্রতিযোগিতাসহ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতাও অর্জন করব। আমি দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে এসব সুযোগ কাজে লাগাতে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘এখানে কোনো হতাশার কথা শুনতে চাই না। এখন থেকে নিজেদের তৈরি করতে হবে। যেসব চ্যালেঞ্জ সামনে আছে, সেগুলো আমরা মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ।’ উত্তরণ-পরবর্তী পরিবেশে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাঁর সরকার ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে বলেও কথা দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯-এর অভিঘাত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বাণিজ্যিক অবরোধ ও পাল্টা অবরোধ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নকামী দেশগুলোকে কঠিন সমস্যার মুখোমুখি করেছে। এমনকি উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধিসহ মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে’ উল্লেখ করে তিনি ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসার উপায় খুঁজে বের করতে হবে এবং সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে নিজেরা নিজেদের বাজার হারাবেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি, ভুটানের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী কর্মা দরজি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার উপমহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত জিয়াংচেন ঝাং, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

স্বাগত বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

অর্থনীতি থেকে আরও পড়ুন

বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বিশ্ব অর্থনীতি

আপনার মন্তব্য লিখুন...