ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪  |  Saturday, 20 April 2024  |  এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

নিয়োগ প্রতারণা কি এবং কিভাবে প্রতারণা করে এর বাস্তব চিত্র


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ০৮:০৪ পিএম, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট:   ০৮:০৪ পিএম, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৯  
নিয়োগ প্রতারণা কি এবং কিভাবে প্রতারণা করে এর বাস্তব চিত্র
নিয়োগ প্রতারণা কি এবং কিভাবে প্রতারণা করে এর বাস্তব চিত্র

শিক্ষক জাতি গড়ে আর ছাত্র গড়ে দেশ। যে ছাত্রদের দিয়ে দেশ গড়ার কথা এই ছাত্ররাই এই দেশের মাটিতে প্রতারণার স্বীকার। জাতিরপিতার আদর্শে বড় হয়েছি তাই প্রতারণা মেনে নিতে পারি না। 

আজ থেকে কিছুদিন আগের কথা। তারিখটা ছিল ২০/১২/২০১৮। আমি বাংলাদেশ রেলওয়ে সহকারী স্টেশন মাষ্টার পদে ভাইভা দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে, সি আর বি, চট্টগ্রাম এর কার্যালয়ে যাই। ভাইভার তারিখ ছিল ২২/১২/২০১৮। 

দুদিন আগে যেতে হয়েছিল কারন রেলওয়ে নিয়োগ কমিটি থেকে আমার ভাইভা কার্ড পাঠাইনি তাই কার্ড সংগ্রহ করার জন্য। ভাইভা কার্ড সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখি আমার রোলনম্বর পাল্টে দিয়েছে। 


আমি রিটেন পরিক্ষা দেই হবি-৫২৩ রোলনম্বর এ, পরে আমার ভাইভা কার্ড সংগ্রহ করে দেখি আমার রোলনম্বর হবি-৫২৬ দেওয়া। অথচ হবি-৫২৬ রোলনম্বর রেজাল্ট সীটে নেই। তখন যিনি আমার ভাইভা কার্ড নিয়ে এলো উনাকে বললাম আমার রোল হবি-৫২৩ স্যার হবি-৫২৬ না, উনি তখন জবাবে বললেন ৫২৩ ও আপনি ৫২৬ ও আপনি, আমাদের কম্পিউটার টাইপিং এ সমস্যা হয়েছে।

তারপর আমি এই ভাইভা কার্ড নিয়ে নিয়োগ কমিটির আহবায়ক উনার স্মরণাপর্ন হই। তখন উনি আমার সব কথা শুনে বললেন চিন্তা করার দরকার নেই আমি নিজে এইটা দেখবো। এই কথা শুনে আমি চলে আসি।

২২/১২/২০১৮ ইং সকালে সি আর বি কার্যালয়ে ভাইভা দিতে আসে দেখি হবি-৫২৩ রোলনম্বরে অন্য একজন ভাইভা দিতে আসেছে। তখন দায়িত্বরত কর্মচারীদের জানাই তারা জবাবে বলে ভাইভা দিবেন কি না বলেন? আপনার তো ভাইভা নেওয়া হচ্ছে আপনার প্রব্লেমটা কি।


আমি বললাম আমার রোলনম্বর তো ৫২৩ আমি কেন ৫২৬ রোলনম্বর এ ভাইভা দিব। তারা কিছু না বলে তাদের কাজে ব্যস্ত হয়ে গেল।এ ত কষ্ট করে গেলাম ভাইভা না দিয়ে চলে আসিইবা কেমনে। 

ভাবলাম ভাইভাটা দিয়েই যাই। রোলনম্বর ৫২৩, ৫২৪, ভাইবা পরিক্ষা দেওয়ার পর আমি ৫২৬ হিসেবে ভাইভা পরিক্ষা দিতে যাই। তখন ভাইভা সীটে স্বাক্ষর করতে গিয়ে দেখি আমার নাম আর আমার বাবার নাম কম্পিউটার প্রিন্টিং করা না বরং পেন্সিল দিয়ে লিখা। কিছু বললাম না, স্বাক্ষর দিয়ে দিলাম। 

ভাইভা পরিক্ষা দিতে রুমে গেলাম। ভাইভা রুমে ৩ জন স্যার আর ১জন ম্যাডাম ছিলেন। উনারা প্রশ্ন করলেন আমি উত্তর দিলাম। উনাদের প্রশ্ন করা শেষে যখন আমাকে বলল আপনি আসেন, তখন আমি উনাদের অনুরোধ করে আমার সমস্ত ঘটনা অবগত করলাম।


তারপর ভাইভা বোর্ডের প্রধান স্যার আমাকে বললেন, চিন্তা করবেন না আমি বিষয়টা দেখবো। তখন আমি স্যারদের সালাম দিয়ে চলে আসলাম। কিন্তু উনারা বিষয়টা তদারকি না করে রেজাল্ট দিয়ে দিছেন। চাকরি হয় নাই দুঃখ নেই দুঃখটা এটাই যে আমার সাথে প্রতারণা করা হল। জাতির কাছে প্রশ্ন -

- বেকার ছাত্রদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার উনাদের কে দিয়েছে?

- বেকার বলে আমরা এত অবহেলিত হবো কেন?

- আজ বঙ্গবন্ধু নেই তাই বলে কি এত অরাজকতা?

বিষয়টা সবার কাছে শেয়ার করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে  এমন যেন কোন ছাত্র আর প্রতারণার স্বীকার না হয়।

নিচে প্রমান স্বরূপ এডমিট কার্ড ও এটেন্ডেন্স শিট এর সিগনেচার এর ছবি দয়া হলো - 

banglarsomoy.com


banglarsomoy.com


banglarsomoy.com

ধন্যবাদ সবাইকে কষ্ট করে পড়ার জন্য। সবাইকে শেয়ার করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।

ধন্যবাদান্তে - Rahul Deb

আপনার মন্তব্য লিখুন...