ঢাকা, সোমবার ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ | এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

নির্বাচন সামনে রেখে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টির চক্রান্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ০৯:১১ পিএম, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট:   ০৯:১১ পিএম, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩  
নির্বাচন সামনে রেখে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টির চক্রান্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচন সামনে রেখে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টির চক্রান্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচন সামনে রেখে নানা দিক থেকে চক্রান্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মূল লক্ষ্য হচ্ছে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। এর থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং দলের কৌশল ঠিক করতে এই বৈঠক হচ্ছে। সূচনা বক্তব্যের পর কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হচ্ছে।  

নানা দিক থেকে চক্রান্ত হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে চক্রান্ত আছে। চক্রান্ত করেই চেষ্টা হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে দেশকে পঙ্গু করা, অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা করে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। সব দিক থেকে চেষ্টা হচ্ছে। এরই মধ্যে আমাদের সকলকে এক হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের শক্তি দেশবাসী।’

বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ যখন শান্তিতে, তখন এই বিএনপি আবার রাস্তায় নেমেছে অগ্নিসন্ত্রাস নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করতে। এই অশান্তির হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে।

কারও নাম উল্লেখ না করে বিএনপির নেতাদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদেরকে আমরা গ্রেপ্তার করব না তো কী করব? আবার অনেকে বলে তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ওই সব দেশে যদি করত তাহলে তারা কী করত? তাদের দেশে কী করছে সেটা আমরা জানি, দেখছি।’

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সামনে নির্বাচন, এটা জনগণের অধিকার। গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার। জনগণের এই অধিকার সুরক্ষা দেওয়া এবং সুষ্ঠুভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করা—এটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।

‘মানুষ পুড়িয়ে তারা উল্লাস করে’

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমরা জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারে বিশ্বাস করি, সাংবিধানিক অধিকারে বিশ্বাস করি। জনগণের ভোটের মধ্য দিয়েই কিন্তু আওয়ামী লীগ বারবার ক্ষমতায় এসেছে।’

বিএনপি-জামায়াত জোট কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এরা মানুষ পুড়িয়ে আন্দোলন করে। মানুষকে অত্যাচার করে, মানুষ পুড়িয়ে তারা উল্লাস করে।

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলের আন্দোলন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সরকারকে উৎখাত করতে হবে! পদত্যাগ করতে হবে! কী কারণে? আমরা তো বিএনপির ওপর কোনো গ্রেনেড হামলাও করিনি বা কোনো অত্যাচারও করিনি।’

শেখ হাসিনা বলেন, যারা এভাবে মানুষ মারবে, অগ্নিসন্ত্রাস করবে, মানুষকে নির্যাতন করবে, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ, মানুষের জানমাল রক্ষা করা, এটা সরকারের দায়িত্ব। সরকারে আছেন বলে এটা তাঁদের কর্তব্য।

বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের তুলনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা তো আন্দোলন করেছি, আমরা তো এ রকমভাবে মানুষকে পুড়িয়ে উল্লাস করে আন্দোলন করিনি। আমাদের আন্দোলনের একটা গণতান্ত্রিক ধারা ছিল। সেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছি। আজকে দেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এখন উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার প্রচেষ্টা।’

সহিংসতার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, দেশের অগ্রযাত্রা যেন কোনোমতেই থেমে না যায়। আজকে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

‘৭০ শতাংশ মানুষের নির্ভরতা আওয়ামী লীগের ওপর’

আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা পরপর তিনবার ক্ষমতায়। সাধারণত সরকার টানা ক্ষমতায় থাকলে জনগণের কাছ থেকে দূরে সরে যায় অথবা জনপ্রিয়তা কমে। আওয়ামী লীগের কিন্তু জনপ্রিয়তা কমেনি। ৭০ শতাংশ মানুষ আমাদের ওপর নির্ভরতা (আস্থা) রাখে। তারা মনে করে আওয়ামী লীগ থাকলে আমাদের কল্যাণ হবে, মঙ্গল হবে।’

চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের ডানপন্থী ও বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে একটা অদ্ভুত জিনিস দেখলাম, নীতি-আদর্শ, আমি জানি না আদর্শ-নীতি গুলিয়ে গেল কেন? চরমপন্থী, ডানপন্থী জামায়াতে ইসলামী হতে শুরু করে বামপন্থী কমিউনিস্ট হতে শুরু করে এত দিন যারা আদর্শের কথা বলেছে, তারা সব একই সঙ্গে, একই সুরে, একই কথা বলে কীভাবে? তারা এক হয়ে মিলেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ অপরাধটা কী করেছে, সেটা জানতে চাই। দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন, আওয়ামী লীগের অপরাধ কী?’

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতি নির্বাচন আওয়ামী লীগ বিএনপি-জামায়াত জোট ডানপন্থী ও বামপন্থী রাজনৈতিক দল

আপনার মন্তব্য লিখুন...