ঢাকা, সোমবার ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ | এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে লড়ছেন রোনালদো-ধর্ষণ মামলার নথি ফাঁস না করতে


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ০১:১২ এএম, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১   আপডেট:   ০২:১২ এএম, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১  
নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে লড়ছেন রোনালদো-ধর্ষণ মামলার নথি ফাঁস না করতে
নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে লড়ছেন রোনালদো-ধর্ষণ মামলার নথি ফাঁস না করতে

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ধর্ষণ মামলা নিয়ে ঝামেলা যেন শেষ হচ্ছে হচ্ছে করেও হচ্ছে না! 

গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে ধর্ষণ মামলার বিচারে রেহাই পেয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু ৩৬ বছর বয়সী পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের ধর্ষণ মামলা নিয়ে ঝামেলা সেখানেই শেষ হয়ে গেছে ধারণা করা হলেও বাস্তবে তা হচ্ছে না। ইংলিশ ক্রীড়াবিষয়ক বিখ্যাত দৈনিক দ্য অ্যাথলেটিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পর নতুন করে ধর্ষণ মামলাটি আবার শিরোনামে। 

নতুন খবর, ধর্ষণ মামলার নথিপত্র প্রকাশ্যে আনার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস। দ্য অ্যাথলেটিক লিখেছে, লাস ভেগাসের মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের (এলভিএমপিডি) দখলে থাকা মামলার নথিপত্র দেখার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। কিন্তু রোনালদো তা হতে দিতে চাইছেন না বলে জানাচ্ছে দ্য অ্যাথলেটিকস। সে কারণে নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে লড়ছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফরোয়ার্ড। 

২০১৭ সালে জার্মান সাময়িকী ডার স্পিগেলের প্রতিবেদনের পর রোনালদোর ধর্ষণের অভিযোগ আলোচনায় আসে। সে সময় ফুটবল দুনিয়ার গোপন নথিপত্র ফাঁস করে দিয়ে আলোচনায় আসা ফুটবল লিকসের কাছ থেকে পাওয়া নথিপত্রের ভিত্তিতে ডার স্পিগেল রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের কথা জানায়।

অভিযোগটি এই, ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাসে এক হোটেলে ক্যাথরিন মায়োরগা নামের এক মডেলকে ধর্ষণ করেছিলেন রোনালদো। সে সময়ে মাত্রই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রোনালদোর রিয়াল মাদ্রিদ যাওয়া নিশ্চিত হয়েছিল। 

রোনালদো সব সময়ই ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে ফুটবল লিকসের ফাঁস করা নথিপত্র থেকে ডার স্পিগেল জানায়, সে সময় ধর্ষণের অভিযোগ ধামাচাপা দিতে মায়োরগাকে চুপিসারে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার দিয়েছিলেন রোনালদো। উদ্দেশ্য, যাতে মায়োরগা লাস ভেগাসের পুলিশের কাছে এ নিয়ে মামলা না করেন।

কিন্তু ২০১৭ সালে ফুটবল লিকসের ফাঁস করা নথিপত্রের পর মামলাটি আবার আলোচনায় আসে। মায়োরগাও তখন আগের সমঝোতা বাতিল করার চেষ্টা করেন। তাঁর দাবি ছিল, ২০০৯ সালের ওই সমঝোতার সময় তাঁকে রাজি হতে বাধ্য করা হয়েছিল। মায়োরগার আইনগত পরামর্শক লেসলি স্টোভাল তখন ফুটবল লিকসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ‘গোপন নথি’ সংগ্রহ করেন। সেগুলো লাস ভেগাস পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেন স্টোভাল।

কিন্তু মামলা নতুন করে চালু হলেও গত অক্টোবরে সেই অঞ্চলের ম্যাজিস্ট্রেট জাজ ড্যানিয়েল অ্যালবরেগটসের রায় যায় রোনালদোর পক্ষে। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের আইনজীবীদের যুক্তি ছিল, মায়োরগার উকিলের অভিযোগটা পুরোপুরিই কিছু চুরি কথা কাগজের ওপর ভিত্তি করে গড়া।

কিন্তু সেই গোপন ২০০টি নথিই এখন রোনালদো ও নিউ ইয়র্ক টাইমসের মধ্যে লড়াইয়ের মূল কারণ। এই বছরের শুরুর ভাগেই নিউ ইয়র্ক টাইমস নথিগুলো প্রকাশ্যে আনার আবেদন করে। তাদের যুক্তি ছিল, নেভাডার পাবলিক রেকর্ডস আইন অনুযায়ী এই নথিগুলো সাধারণ্যে প্রকাশ করার আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে।

এরপর লাস ভেগাস পুলিশ গত নভেম্বরে লিখিতভাবে রোনালদোর আইনজীবীকে জানান, তাঁরা নথিগুলো প্রকাশ্যে আনতে যাচ্ছেন। ইংলিশ দৈনিক দ্য অ্যাথলেটিকস লিখেছে, সেদিনই লাস ভেগাস পুলিশকে ফিরতি জবাবে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন রোনালদোর আইনজীবীরা।

এই অবস্থায় নথিগুলো নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া হবে কি না, এ ব্যাপারে লাস ভেগাস পুলিশের সঙ্গে দ্য অ্যাথলেটিকস যোগাযোগ করলেও কোনো উত্তর পায়নি বলে জানিয়েছে। ইংলিশ পত্রিকাটি জানাচ্ছে, এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বিভিন্ন সংস্থার কাছে থাকা তথ্য প্রকাশ্যে আনার ব্যাপারে অনেকবার লড়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

খেলা থেকে আরও পড়ুন

ফুটবল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড পর্তুগাল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সিআরসেভেন

আপনার মন্তব্য লিখুন...