ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪  |  Friday, 19 April 2024  |  এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

ঢাকা–দিল্লি সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে কর্মপরিকল্পনা দরকার


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ০৭:০৩ পিএম, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২   আপডেট:   ০৭:০৩ পিএম, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২  
ঢাকা–দিল্লি সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে কর্মপরিকল্পনা দরকার
ঢাকা–দিল্লি সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে কর্মপরিকল্পনা দরকার

বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কের মধ্যে যে বিষয়গুলোতে জটিলতা ও সমস্যা রয়েছে, তা আলোচনায় উঠে আসা জরুরি। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে হলে এ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার স্বার্থে একটি কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে হবে।  

বুধবার বিকেলে রাজধানীর বিস মিলনায়তনে বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস–বিস) ওই সেমিনারের আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ঢাকা–দিল্লি সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে এসে সম্পর্কের শক্তিকে আত্মস্থ করা এবং ভুলগুলো কী কী, সেটা পর্যালোচনা করা সময়ের দাবি। এর পাশাপাশি সম্পর্কের চ্যালেঞ্জগুলো কী, তা স্বীকার করে একটি কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা জরুরি। সামগ্রিকভাবে ভারতের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার বাংলাদেশ। এ অঞ্চলে ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী অংশীদারও বাংলাদেশ।

দুই দেশের অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানের প্রসঙ্গ টেনে শাহরিয়ার আলম বলেন, অন্য অনেক প্রতিবেশী দেশের মতো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেও অস্বস্তি রয়েছে। দুই দেশ এখন পর্যন্ত সম্পর্কের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি বাস্তবায়িত করতে পারেনি। স্থলসীমান্ত ও সমুদ্রসীমার মতো দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান হলেও সীমান্তে বাংলাদেশের লোকজনের মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রধান অস্বস্তি হিসেবে রয়েছে। দুই দেশের যেকোনো পর্যায়ের আলোচনায় এটি আলোচ্যসূচির ওপরের দিকেই থাকে। অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিতর্কের আরেকটি বিষয়।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ভারতের বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের পরিচালক অরবিন্দ গুপ্ত বলেন, ‘বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কে জটিলতা যেমন আছে, গভীরতাও আছে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে অতীতে যে ওঠানামা হয়েছে, আমরা চাইলেই সেই বাস্তবতাটা বদলে দিতে পারি না। দুই দেশের মধ্যে অনেক বিষয়ে মতপার্থক্য আছে।

কোনো বিষয়ে ঐকমত্য না হওয়াটা দোষের কিছু নয়। একে অন্যের স্বার্থকে দেখতে হবে। তবে যে বিষয়গুলোতে জটিলতা ও সমস্যা রয়েছে, তা আলোচনায় উঠে আসা জরুরি। এ বিষয়গুলো মোকাবিলা করে সামনে এগোতে হবে। মিল এবং অমিলের পরও যে গভীরতা এবং বৈচিত্র্য সম্পর্কে আছে, সেটিকে আমাদের উদ্‌যাপন করতে হবে।’

বিসের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের সম্পর্কের যে ধারা, সেটি বজায় রাখার স্বার্থে কিছু অনিষ্পন্ন বিষয়ের সমাধান করাটা জরুরি। এ সম্পর্ককে আরও উঁচুতে নেওয়ার ব্যাপারে দুই পক্ষের সদিচ্ছার কোনো অভাব নেই। সেমিনারে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ ফেলো শ্রীরাধা দত্ত ও বিসের গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবীর।

শ্রীরাধা দত্ত বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলো আরও বিকশিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে শুধু বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দরের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। অন্যান্য স্থল বন্দর দিয়েও বাণিজ্য বাড়ানো যেতে পারে।

কাজী ইমতিয়াজ হোসেনের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেন বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের সম্মাননীয় ফেলো লে. জেনারেল (অব.) রবি কুমার সোহনি ও বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজের চেয়ারম্যান এ এস এম শামসুল আরেফিন। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বিসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান।

আলোচনা পর্বের শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং অন্য অতিথিরা শ্রীরাধা দত্ত সম্পাদিত ‘বাংলাদেশ–ইন্ডিয়া বোনহোমি অভ ৫০: ১৯৭১ অ্যান্ড প্রেজেন্ট’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

অন্যান্য থেকে আরও পড়ুন

বাংলাদেশ তিস্তা পানি চুক্তি ভারত কূটনীতি

আপনার মন্তব্য লিখুন...