ঢাকা, সোমবার ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ | এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

ছয় দিন পর পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপি কার্যালয়ে কাজ শুরু


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ০৯:০৮ পিএম, সোমবার, ১২ আগস্ট ২০২৪   আপডেট:   ০৯:০৮ পিএম, সোমবার, ১২ আগস্ট ২০২৪  
ছয় দিন পর পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপি কার্যালয়ে কাজ শুরু
ছয় দিন পর পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপি কার্যালয়ে কাজ শুরু

ছয় দিন বন্ধ থাকার পর রাজধানীতে অবস্থিত পুলিশ সদর দপ্তর ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদর দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু হয়েছে। ইউনিফর্ম পরে পুলিশ সদর দপ্তরে কাজে অংশ নেন পুলিশ সদস্যরা। আজ সোমবার সরেজমিনে এ চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় পুলিশ সদর দপ্তরে আজ দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটকে সেনাবাহিনী ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কড়া পাহারা। অভ্যর্থনাকক্ষে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। সদর দপ্তরের ভেতরে পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার বেশির ভাগ কর্মকর্তা চেয়ারে বসে দাপ্তরিক কাজ করছেন। অধস্তন সদস্যরা ইউনিফর্ম পরে কাজে এসেছেন।

সদর দপ্তরের ভেতরে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের অধিকাংশ বদলি আতঙ্কে ভুগছেন। কারও কারও মধ্যে আবার চাকরি হারানোর শঙ্কা রয়েছে। দীর্ঘদিন পদোন্নতি বঞ্চিত অনেকে পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) ভবনে ভিড় করছেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর জানান, আজ পুলিশ সদস্যরা পোশাক পরে কাজে যোগ দিয়েছেন।

এর আগে সকালে রাজধানীর শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণিতে অবস্থিত ডিএমপি সদর দপ্তরে গিয়ে দেখা যায়, সদর দপ্তরে প্রবেশের প্রধান ফটকে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। ভেতরে কর্মকর্তারা দাপ্তরিক কাজ করছেন। জানা গেছে, ডিএমপির বেশির ভাগ পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যেও বদলি ও চাকরি হারানোর আতঙ্ক রয়েছে।

ডিবি কার্যালয়েও কাজ শুরু

মিন্টো রোডে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ের প্রধান ফটকে দুপুর ১২টার দিকে দেখা যায়, ফটকের সামনের মূল সড়কে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান। কার্যালয়ে ঢোকার মুখে সেনাসদস্য ও এপিবিএন সদস্যরা পাহারায় রয়েছেন। কেউ ভেতরে যেতে চাইলে পরিচয়পত্র দেখে যাচাই–বাছাই করে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। কার্যালয়ের ভেতরে ডিবি সদস্যদের দাপ্তরিক কাজ করতে দেখা যায়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজধানীর অনেক থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের কাজে ব্যবহৃত গাড়িও। অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট করা হয়। এরপর পুলিশি ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় পুলিশ এবং ডিএমপি সদর দপ্তর ও ডিএমপির ডিবি কার্যালয়।

এ ছাড়া পুলিশে সংস্কারের ১১ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন পুলিশ সদস্যদের একাংশ। দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। এরই মধ্যে গতকাল রোববার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বৈঠক হয় আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের। বৈঠক শেষে তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহারে ঘোষণা দেন।

জাতীয় থেকে আরও পড়ুন

রাজধানী পুলিশ ডিএমপি আন্দোলন

আপনার মন্তব্য লিখুন...