গাছের ক্ষতিতে কোন ছাড় নয়: হাইকোর্ট
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ০৬:০৫ পিএম, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩ আপডেট: ০৬:০৫ পিএম, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
কোনো মানুষ গাছের ক্ষতি করতে পারবে না উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, যে গাছের ক্ষতি করবে, তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এমন মন্তব্য করেন।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গ্রামীণ সড়ক নির্মাণের সময় ৩০টি তালগাছ উপড়ে ফেলার ঘটনায় এক শুনানিতে কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলীর উদ্দেশে আদালত এসব কথা বলেন।
‘গ্রামের ৩০টি তালগাছ কাটলেন চেয়ারম্যান’ এবং ‘তালগাছ উপড়ে ফেলা হলো’ এমন শিরোনামে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ৪ মে প্রতিবেদন ৬ মে সম্পাদকীয় ছাপা হয়। এতে বলা হয়, কলাপাড়া উপজেলায় একটি গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামে এক সপ্তাহ ধরে এক্সকাভেটর (খননযন্ত্র) দিয়ে পরিবেশের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ অন্তত ৩০টি তালগাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। তালগাছগুলোর বয়স ছিল ২৫ থেকে ৩০ বছর। তালগাছের পাশাপাশি এ সড়কে বন বিভাগের রোপণ করা বিভিন্ন প্রজাতির অন্তত ৪০টি গাছের চারাও উপড়ে ফেলা হয়েছে। সম্পাদকীয়টি নজরে এলে ৭ মে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। আদেশ অনুসারে ১৮ মে কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
শুনানি নিয়ে ১৮ মে হাইকোর্ট চেয়ারম্যান মো. ফজলু গাজী এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সোবহান হাওলাদারকে সাময়িক বরখাস্ত করতে নির্দেশ দেন। ওই ঘটনার বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী কাজী মো. ফয়সাল বারীকে ৩০ মে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী কাজী মো. ফয়সাল বারী গতকাল আদালত হাজির হন এবং আদালত তাঁর বক্তব্য শোনেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল উম্মে মাসুমুন নেসা। আদেশ অনুসারে ফজলু গাজী ও সোবহান হাওলাদার আদালতে হাজির হন। তাঁদের পক্ষে আইনজীবী রবিউল আলম, মো. সাখাওয়াত হোসেন ও কামরুজ্জামান শুনানিতে ছিলেন।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী বলেন, চেয়ারম্যান মো. ফজলু গাজী এবং সদস্য মো. সোবহান হাওলাদারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী তাঁর লিখিত বক্তব্য দাখিল করেছেন। শুনানি নিয়ে আদালত ১৪ জুন রায়ের জন্য দিন রেখেছেন।