গণমাধ্যমের সংখ্যা বাড়লেও স্বাধীন সাংবাদিকতা কমেছে: টিআইবি
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ০৪:০৫ পিএম, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩ আপডেট: ০৫:০৫ পিএম, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
দেশে গণমাধ্যমের সংখ্যা বাড়লেও স্বাধীন সাংবাদিকতা কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণমাধ্যম যাতে বিনা বাধায় নিজ ভূমিকা পালন করতে পারে, সে পরিবেশ নিশ্চিত করা।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার টিআইবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আহ্বান জানিয়ে টিআইবি বলেছে, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতাসীনদের ছত্রচ্ছায়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হয়রানি, হামলা ও মামলা হচ্ছে। এর মাধ্যমে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধসহ স্বাধীন মত ও চিন্তা প্রকাশের চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ ও ক্ষমতাসীনদের স্বার্থরক্ষার অন্যতম হাতিয়ার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক ২০২২-এ ১০ ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২তম হয়েছে। এটি প্রমাণ করে দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কতটা অবনমন ঘটেছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যত মামলা হয়েছে, সেগুলোর প্রতি চারটির একটি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়েছে বলে জানান সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, এসব মামলার বাদীদের বড় অংশই সরকার ও ক্ষমতাসীন দলসংশ্লিষ্ট। এ আইনটির যথেচ্ছ অপব্যবহার মত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক দায়বদ্ধতার প্রতি প্রহসনের নামান্তর।
গণমাধ্যম এখন ‘স্বনিয়ন্ত্রণের ফাঁদে’ আটকা পড়েছে উল্লেখ করে টিআইবি বলেছে, গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার না হওয়া, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ‘খড়্গসহ অদৃশ্য শক্তির প্রভাব বলয়ে’ সংবাদকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
তবে প্রতিনিয়ত হামলা, মামলা ও ক্ষেত্র বিশেষে জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে অধিকাংশ সংবাদকর্মী সাহসী ভূমিকা পালন করছেন বলে মনে করছে সংগঠনটি। দুর্নীতিমুক্ত ও সুশাসিত দেশ গঠনে গণমাধ্যমকর্মীরা যাতে এ সাহসী ভূমিকা অব্যাহত রাখতে পারেন, সে ব্যবস্থা নিতে সরকার, গণমাধ্যমের মালিক ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।