খালেদা জিয়াকে বাসায় থাকতে দিয়েছি, চিকিৎসা করতে দিয়েছি, এটাই কি বেশি নয়: প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ০৮:১১ পিএম, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১ আপডেট: ০৮:১১ পিএম, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর সুযোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখানে তাঁর কিছু করার নেই। এটা এখন আইনের ব্যাপার। ‘খালেদা জিয়াকে যে কারাগার থেকে বাসায় থাকতে দিয়েছি, চিকিৎসা করতে দিয়েছি এটাই কি বেশি নয়?’ এমন মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার হাতে যেটুকু পাওয়ার, সেটুকু আমি দেখিয়েছি। আর কত চান, আমাকে বলেন। এখন সে অসুস্থ, ওই যে বললাম না রাখে আল্লাহ মারে কে, মারে আল্লাহ রাখে কে। সেটাই মনে করে বসে থাকেন। এখানে আমার কিছু করার নাই। আমার যেটা করার, আমি করেছি। এটা এখন আইনের ব্যাপার।’
যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে তাঁর ১৪ দিনের সরকারি সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করার উদ্দেশ্যে আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর এক সংবাদ সম্মেলন ছিল। গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা করাতে বিদেশে যাওয়ার আবেদনের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার কাছে চান কীভাবে? বলুন তো। খালেদা জিয়াকে যে কারাগার থেকে বাসায় থাকতে দিয়েছি, চিকিৎসা করতে দিয়েছি, এটাই কি বেশি নয়? আপনাকে যদি কেউ হত্যার চেষ্টা করত, আপনি কি তাকে গলায় ফুলের মালা দিয়ে নিয়ে আসতেন? আপনার পরিবারকে যদি কেউ হত্যা করত, আর সেই হত্যাকারীকে যদি কেউ বিচার না করে পুরস্কৃত করে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিত, তাদের আপনি কী করতেন? আমি থাকতে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ভোট দিয়ে সংসদে বসাল। যেখানে আমি বিরোধীদলীয় নেতা ছিলাম, সেখানে বসানো হলো কর্নেল রশিদকে। কে করেছিল? খালেদা জিয়া।’
কোটালীপাড়ায় বোমা হামলা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন বোমা পোঁতে, তার আগে তাঁর (খালেদা জিয়া) বক্তৃতা কী ছিল? শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরে থাকুক, কোনো দিন বিরোধী দলের নেতাও হতে পারবে না। সেই কথাও বলেছিল। ভেবেছিল মরেই তো যাব। রাখে আল্লাহ মারে কে, আর মারে আল্লাহ রাখে কে। এখন আমার বেলায় সেটা হচ্ছে রাখে আল্লাহ মারে কে। সেখানে তারপরও খালেদা জিয়ার জন্য এত দয়া দেখাতে আমাকে বলেন। কেউ এই প্রশ্ন করলে আমার মনে হয় আপনাদের একটু লজ্জা হওয়া উচিত। বাপ, মা, আমার ছোট ভাই রাসেলকে পর্যন্ত হত্যা করেছে।
তারপরও আমরা অমানুষ না। অমানুষ না দেখেই তাকে আমরা অন্তত তার বাসায় থাকার, চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমার এক্সিকিউটিভ ক্ষমতা আমার হাতে যতটুকু আছে। বাকিটা আইনগত ব্যাপার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতি করে করে এই দেশটাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। গ্রেনেড হামলার পর এতজন লোক আহত আমাদের, ২২ জন মানুষ মারা গেছে।
একটি পার্লামেন্টের সেশনে আলোচনা করতে দেয়নি। আমরা এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারিনি। এত বড় অমানবিক যে তাকেও আমি মানবিকতা দেখিয়েছি।’