ক্যামেরা ও মুঠোফোনের জন্য সাদ্দামের প্রাণটাই গেল
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ০৩:০৭ পিএম, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০ আপডেট: ০৪:০৭ পিএম, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০
ক্যামেরা ও মুঠোফোনের জন্য প্রাণ হারালেন পর্যটন কেন্দ্র সিলেটের জাফলংয়ের ট্যুরিস্ট গাইড সাদ্দাম হোসেন। পর্যটক সেজে এক কিশোর ও এক তরুণ তাঁকে খুন করে ক্যামেরা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেন। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
পুলিশ সূত্র জানায়, ১৫ জুলাই সিলেটের জাফলং গ্রিন পার্ক এলাকা থেকে ট্যুরিস্ট গাইড সাদ্দাম হোসেনের (৩০) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সে সময় ধারণা করা হচ্ছিল, পূর্ববিরোধের জেরে সাদ্দাম হোসেনকে খুন করা হয়েছে।
সাদ্দাম হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গতকাল পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, সাদ্দাম হোসেনকে খুন করার অভিযোগে তাঁর স্ত্রী নসিরা বেগম ১৬ জুলাই বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর পিবিআই ঘটনার ছায়াতদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, শেষবার দুজন পর্যটকের সঙ্গে সাদ্দাম হোসেনকে দেখা গেছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অভিযান চালান পিবিআইয়ের সদস্যরা। তাঁরা সাদ্দাম হত্যায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করেন। তাঁরা হলেন রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকার মো. সজল (২০) ও একই এলাকার এক কিশোর (১৫)। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে সাদ্দামের মুঠোফোন ও ডিএসএলআর ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়। ক্যামেরার দাম ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।
সাদ্দাম হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে পিবিআই সিলেট কার্যালয়ের পুলিশ মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া দুজন নারায়ণগঞ্জ থেকে পর্যটকের ছদ্মবেশে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ব্যাগে ছুরি নিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে সজল বাসচালকের সহকারী এবং অপরজন নারায়ণগঞ্জে একটি জুতার দোকানে কর্মরত ছিল। ১৫ জুলাই জাফলংয়ে গিয়ে তাঁরা ছবি তোলার জন্য সাদ্দামকে নিয়োগ করেন। যে জায়গা থেকে সাদ্দামের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে গ্রেপ্তার হওয়া দুজন একাধিক ছবি তোলে। পরে সাদ্দামকে একাধিক ছুরিকাঘাত করে তাঁরা ক্যামেরা ও মুঠোফোন নিয়ে যান। তাঁদের বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে কি না কিংবা তাঁদের অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ছিল কি না, সেটি তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গ্রেপ্তার হওয়া দুজন সাদ্দামকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। তাঁদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।