কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু, ময়নাতদন্ত খতিয়ে দেখছেন ম্যাজিস্ট্রেট
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ০৯:১২ পিএম, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের মরদেহের ময়নাতদন্তের বিষয়ে আইনগত দিকগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। এর আগে গতকাল সোমবার তিনি খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের পাঠানো একটি চিঠি হাতে পান।
ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিচুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের খানজাহান আলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহরিয়ার হাসান লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলা হয়।
কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার একটি চিঠি পেয়েছি। ঘটনা ঘটেছে খুলনাতে। আমরা বিষটির আইনগত দিকগুলো খতিয়ে দেখছি ও পর্যালোচনা করছি। পরে কী হয় বা না হয়, সেটা জানানো হবে।’
গত ৩০ নভেম্বর কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক (ইইই) ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ সেলিম হোসেন (৩৮) ক্যাম্পাসের পাশের ভাড়া বাসায় মারা যান। ১ ডিসেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়া তাঁর মরদেহ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামে দাফন করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মীর মানসিক নিপীড়নের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বলছে, এটি হত্যাকাণ্ড। অধ্যাপক সেলিমের পরিবারও এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করেছে। ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বাসায় ফেরার পথে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অধ্যাপক সেলিমকে বিভাগে তাঁর কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর ওপর মানসিক নিপীড়ন চালানো হয়।