কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করলেন দম্ভোক্তি করা ছাত্রলীগ নেত্রী
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ০৪:০৩ পিএম, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩ আপডেট: ০৪:০৩ পিএম, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যক্তি আক্রমণ ও হেনস্তার অভিযোগ তুলে উপাচার্যের কাছে আবেদন করেছেন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী ফাইজা মাহজাবিন। আজ সোমবার এ অভিযোগ করা হয়।
গত শনিবার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমানের সঙ্গে দম্ভোক্তি ও অসদাচরণ করেন কাজী ফাইজা মাহজাবিন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলেন ওই ছাত্রলীগ নেত্রী।
আবেদনে ফাইজা মাহজাবিন উল্লেখ করেন, ‘বিগত তিন মাসে আমাদের হলের প্রাধ্যক্ষ সাহেদুর রহমান স্যার নানাভাবে আমাকে হেনস্তা করেছেন। কখনো তিনি বিনা অনুমতিতে ঠুনকো অজুহাতে আমার কক্ষে প্রবেশ করে আমাকে বিব্রত করেছেন, কখনো পূর্ব নোটিশ ব্যতীত কক্ষের ব্যক্তিগত লকার চেক করেছেন। এসব বিষয় এবং হলের নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রাধ্যক্ষ আমাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় অশালীন মন্তব্য ও অপমানজনক আচরণ করেছেন। ঘটনাগুলোকে আড়াল করতে সম্প্রতি তিনি গণমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।’
জানতে চাইলে কাজী ফাইজা মাহজাবিন আজ বিকেলে বলেন, ‘একজন প্রাধ্যক্ষ আমার কক্ষে হুটহাট করে আসতে পারেন না। এতে আমার সম্মানহানি হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। আমি প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে কোনো ধরনের খারাপ আচরণ করিনি।’
প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমান বলেন, ‘যখনই কোনো কক্ষে পরিদর্শনের জন্য যাই, তখন একজন ছাত্রী থাকেনই। ওই ছাত্রীর (ফাইজা) কক্ষে গিয়ে হিটার পাওয়া গেছে। হলের অফিসকক্ষের চেয়ারও পাওয়া গেছে। তিনি হলের ভর্তির ফি–ও দিচ্ছেন না। গত বছরের ৩১ জুলাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ছাত্রী হল চালু হয়। এখানে ৩৭৯ জন শিক্ষার্থী থাকেন। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্রীদের নানা অভিযোগ। প্রাধ্যক্ষ হিসেবে এগুলো আমাকে দেখতে হয়। হলে আলাদা একটি মেরুকরণ তৈরি করতে চান ওই ছাত্রী। এ নিয়ে ছাত্রীদের অভিযোগ রয়েছে।’
প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘প্রাধ্যক্ষ ও ফাইজার অভিযোগ পেয়েছি। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি হবে।’ জানতে চাইলে উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।