ইংরেজিতে ভালো করবেন যেভাবেঃ বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ১১:১২ পিএম, বুধবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮
বিদেশি ভাষা হওয়ায় অনেকেরই ভীতির জায়গা ইংরেজি। বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অধিক নম্বর পেতে ইংরেজি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনিভাবে লিখিত পরীক্ষায় ধস নামানোর ক্ষেত্রে এটি বড় ভূমিকা রাখে। বিগত বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের অধিকাংশ ইংরেজিতে খারাপ করেছেন বলে শোনা যায়। তাই লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়ে কাঙ্ক্ষিত ক্যাডার পাওয়ার ক্ষেত্রে ইংরেজিতে ভালো করার বিকল্প নেই। নিয়মিত অনুশীলন করলে ইংরেজিতে ভালো করা সম্ভব।
ইংরেজিতে ভালো করবেন যেভাবেঃ ৩৮তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি
নির্দেশনা ইসমাইল হোসেন , বিসিএস ( প্রশাসন, মেধাক্রম :১ম ) ৩৬ তম বিসিএস
► নম্বর বণ্টন -
বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় সাধারণ এবং টেকনিক্যাল উভয় ক্যাডারের প্রার্থীদের ইংরেজিতে মোট বরাদ্দ ২০০ নম্বর। প্রথম পত্রে ১০০ এবং দ্বিতীয় পত্রে ১০০।
প্রথম পত্রে একটি Unseen Passage থাকে। Passage-এর ওপর ভিত্তি করে ৩০ নম্বরের ১০টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থাকে। কিছু Grammatical প্রশ্ন থাকে। এতেও বরাদ্দ ৩০ নম্বর। ১টি Summary ও ১টি Letter থাকে। এ দুটোতে বরাদ্দ ২০ নম্বর করে।
দ্বিতীয় পত্রে থাকে অনুবাদ ও Easy Writing. ২৫ নম্বরের বাংলা থেকে ইংরেজি (Translation) এবং ২৫ নম্বরের ইংরেজি থেকে বাংলা (Re-Translation) অনুবাদ থাকে। একটি রচনা থাকে, এতে বরাদ্দ ৫০ নম্বর।
► নম্বর ভালো পাওয়ার ৩ শর্ত
ভালো নম্বর পেতে ৩টি কথা মাথায় রাখুন —
► শুদ্ধ বাক্য : ইংরেজি বাক্য অবশ্যই শুদ্ধ হতে হবে। অর্থাৎ বাক্যের মধ্যে কোনো Grammatical Error থাকবে না।
► শুদ্ধ বানান : বাক্যের মধ্যে কোনো বানান ভুল থাকবে না। প্রতিটি শব্দ যেন নির্ভুল হয়।
► জোর দিন ভোকাবুলারিতে : ইংরেজিতে ভালো করতে Vocabularyর ওপর দক্ষতা থাকা জরুরি। প্রতিদিন vocabulary অনুশীলন করতে হবে।
উপরিউক্ত ৩টি কথা মাথায় রেখে Simple Sentence-এ নিজের ভাষায় ইংরেজি লিখে যান। দায়িত্ব নিয়ে বলছি, অবশ্যই ভালো নম্বর আসবে।
--
► ইংরেজি লিখুন প্রতিদিন
ইংরেজি লিখিত পরীক্ষায় মুখস্থ করে কমন পাওয়ার কোনো বিষয় নেই। প্রশ্নানুযায়ী লেখার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে লিখে আসতে হবে। ইংরেজিতে যার লেখার দক্ষতা যত ভালো, সে তত ভালো করবে। লেখার দক্ষতা অর্জনে যেকোনো বিষয়ের ওপর লেখার অনুশীলন করুন। প্রতিদিন অন্তত এক পৃষ্ঠা হলেও ইংরেজি লিখুন। লেখার অভ্যাস থাকলে সহজেই উত্তর করা যায়।
► প্রস্তুতি ও লেখার কৌশল
► Passage থেকে প্রশ্নের উত্তর লেখার আগে প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়ে নিন। তারপর চধংংধমবটি পড়ুন। প্রশ্নের উত্তরগুলো নিজের ভাষায় Simple Sentence-এ লিখুন। Passage থেকে সরাসরি কোনো বাক্য লিখবেন না। ৩-৪টি বাক্যে উত্তর লিখুন। যেকোনো ভালো মানের সহায়ক বই থেকে প্রতিদিন অনুশীলন করতে পারেন। Passage কমন আসে না। তাই যেকোনো বিষয়ে লেখার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
► Grammatical অংশে সাধরণত Meaning of Words, Interchange of Parts of Speech, Joining Sentence, Make Sentence, Punctuation, Passage Narration, Transformation of Sentence ইত্যাদি বিষয়ের ওপর প্রশ্ন থাকে। তবে প্রশ্নগুলো Passage থেকে করা হবে। টু দ্য পয়েন্টে উত্তর লিখতে হবে। ভালো মানের ইংরেজি Grammar বই থেকে নিয়মিত অনুশীলন করলে এ অংশে ভালো করা যাবে।
► Summary লেখার ক্ষেত্রে Passageটির মূল কথা বুঝে নিজের ভাষায় লিখতে হবে। নিজের মতো করে সুন্দর শব্দ ও নির্ভুল বাক্যে ১০০ শব্দের মধ্যে Summary লিখলে বেশি নম্বর পাওয়া যাবে।
► Letter To Editor লেখার ক্ষেত্রে নিয়ম খুব গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক নিয়মে লিখলে ভালো নম্বর পাওয়া যায়। প্রতিদিন ইংরেজি পত্রিকার Letter To Editor অংশ দেখতে পারেন অথবা বিভিন্ন টপিক নিয়ে লেখার চর্চা করতে পারেন।
► Letter To Editor এবং Summary লেখার ক্ষেত্রে যেহেতু একই Passage-এর ওপর ভিত্তি করে লিখতে হয়, তাই লক্ষ রাখতে হবে, যাতে উভয় টপিকে একই বাক্যের পুনরাবৃত্তি না ঘটে। ভিন্ন ভিন্ন বাক্য লিখলে নম্বর ভালো আসবে।
► অনুবাদ অনুশীলনে বেশি সময় দিন। ইংরেজিতে অনুবাদ ভালো নম্বর পেতে সহায়তা করে। প্রতিদিন যেকোনো একটি বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকার সম্পাদকীয় এবং উপসম্পাদকীয় কলাম বুঝে বুঝে অনুবাদ করুন। ভুলগুলো খুঁজে বের করে শুধরে নিন। বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ করার ক্ষেত্রে বাক্য বড় হলে ২ বা ৩টি বাক্যে অনুবাদ করুন। ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করার ক্ষেত্রে ভাবানুবাদ করুন।
► ইংরেজি রচনা লেখার ক্ষেত্রে শুদ্ধ বাক্যে লিখুন। অশুদ্ধ বাক্যে বিশাল পরিধির রচনা না লিখে শুদ্ধ বাক্যে প্রাসঙ্গিক তথ্য-উপাত্ত দিয়ে ছোট পরিধির রচনা লেখাটা অধিক যৌক্তিক। প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত ও চিত্র দিন। ইংরেজি রচনার জন্য আলাদাভাবে প্রস্তুতি না নিয়ে বাংলা রচনা প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি ইংরেজির জন্যও প্রস্তুতি নিতে পারেন। সমসাময়িক বিষয়াবলি, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, উন্নয়ন প্রকল্প, জলবায়ু, তথ্যপ্রযুক্তি, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি বিষয়ের ওপর বাংলা ও ইংরেজিতে রচনা আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ইংরেজি পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য প্রার্থীর শুদ্ধ ইংরেজি বাক্য তৈরির সক্ষমতা, সঠিক ও নির্ভুল শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে দক্ষতা যাচাই। নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে এই যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে সাফল্য আসবেই।
►বাংলায় ভালো করবেন যেভাবে?
► ৩৫তম বিসিএস থেকে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে নতুন সিলেবাসে। প্রথমেই সিলেবাসে চোখ বুলিয়ে নিন
► সাহিত্য অংশটির পরিধি বেশ বড়। পিএসসি নির্ধারিত লেখক সম্পর্কে ভালো করে পড়বেন প্রথমে
► কোনো বিষয় সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলে নিজের মতো করে লিখতে পারবেন
তুমুল প্রতিযোগিতামূলক বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় যাঁরা উতরে গেছেন, তাঁদের অভিনন্দন। এবার লিখিত পরীক্ষার পালা। প্রিলির মতো লিখিত পরীক্ষা শুধু পাস-ফেলের পরীক্ষা নয়। ভালো নম্বর পেয়ে পাস করার পরীক্ষা। ভালো নম্বর না পেয়ে পাস করা আর ফেল করা প্রায় সমান কথা। ভালো নম্বর তুলতে না পারলে ভালো ক্যাডার পাওয়া যাবে না। বাদ পড়তে পারেন বিসিএস থেকেও। তাই প্রস্তুতিটাও হওয়া চাই যথাযথ।
►বাংলাকে হেলাফেলা নয় -
বাংলা প্রথম পত্রে বরাদ্দ ১০০ নম্বর। দ্বিতীয় পত্রে আরো ১০০। প্রথম পত্র সাধারণ ও টেকনিক্যাল উভয় ক্যাডারের প্রার্থীদের। বাংলা দ্বিতীয় পত্র শুধু সাধারণ ক্যাডারের জন্য। মায়ের ভাষা বলে অনেকেই বাংলাকে হেলাফেলা করেন। হেলাফেলা করলেই সর্বনাশ। বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় যেকোনো বিষয়ই গড়ে দিতে পারে বড় ব্যবধান। আর লিখিত পরীক্ষায় বাংলা তো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রিলিমিনারিতে যেহেতু টিকেছেন, মেধা নিশ্চয়ই আছে। একটুখানি কৌশল, বাকিটা পরিশ্রম এগিয়ে রাখবে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে।
►নম্বর বণ্টন-
বাংলা প্রথম পত্রে ব্যাকরণ অংশে বরাদ্দ ৩০ নম্বর। প্রশ্ন করা হবে শব্দগঠন, বানান বা বানানের নিয়ম, বাক্যশুদ্ধি বা প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, প্রবাদ-প্রবচন ও বাক্যগঠন থেকে। লিখতে হবে ভাবসম্প্রসারণ ও সারমর্ম। প্রতিটিতে নম্বর বরাদ্দ ২০ করে। বাকি ৩০ নম্বর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে। এ অংশে শর্ট টাইপের প্রশ্ন বেশি হতে পারে। দ্বিতীয় পত্রে ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ, কাল্পনিক সংলাপ লিখন, পত্রলিখন, গ্রন্থ সমালোচনা—প্রতিটিতে ১৫ নম্বর করে মোট ৬০ নম্বর বরাদ্দ। সবচেয়ে বেশি নম্বর রচনা লিখনে। এতে থাকবে ৪০ নম্বর।
►সিলেবাস ও প্রশ্ন দেখে প্রস্তুতি
►৩৫তম বিসিএস থেকে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে নতুন সিলেবাসে। প্রথমেই সিলেবাসে চোখ বুলিয়ে নিন। তারপর নজর দিন বিসিএসে আসা বিগত বছরের প্রশ্নগুলোর দিকে। এতে প্রশ্ন কেমন হতে পারে, সে বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা পেয়ে যাবেন। দশম থেকে ৩৭তম বিসিএসের ব্যাকরণ ও সাহিত্য প্রশ্ন প্রস্তুতিতে কাজে আসবে। বিগত সালের পরীক্ষায় আসা ব্যাকরণ, শুদ্ধিকরণ, প্রবাদ-প্রবচন ও বাগধারা, বিভিন্ন ধরনের পত্র লেখার নিয়ম ভালো করে পড়ুন। দরখাস্ত, মানপত্র বা চিঠি ইত্যাদি লেখার নিয়ম আয়ত্ত করতে পারলে প্রশ্ন যে রকমই হোক না কেন, উত্তর লিখে আসতে পারবেন। বিগত সালে পরীক্ষায় আসা সারমর্ম বা সারাংশ ও ভাবসম্প্রসারণের উত্তর বানিয়ে লেখার অভ্যাস করুন। যত বেশি অনুশীলন করবেন, প্রস্তুতি তত ভালো হবে।
►সহায়ক বই-
হুমায়ুন আজাদের ‘লাল নীল দীপাবলী বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী’ বইটি পড়তে পারেন। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনকাল থেকে আধুনিককাল পর্যন্ত ইতিহাস খুব সুন্দরভাবে সহজ-সরল ভাষায় লেখা আছে এতে। মাহবুবুল আলমের ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস’ বইটিও পড়তে পারেন। ব্যাকরণ অংশের জন্য হুমায়ুন আজাদের ‘কতো নদী সরোবর অথবা বাঙলা ভাষার জীবনী’ বইটি সহায়ক হবে। এ ছাড়া নবম-দশম শ্রেণির বোর্ডের বাংলা ব্যাকরণ বই তো আছেই। বাংলা বানান, শুদ্ধিকরণ প্রভৃতির জন্য বাংলা একাডেমি প্রণীত ব্যবহারিক বাংলা অভিধানের শেষে ‘প্রমিত বাংলা বানান’ নামে একটি অধ্যায় আছে। মনোযোগ দিয়ে এই অংশটা দেখলে বানান বিষয়ে ভালো ধারণা পাবেন।
►প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে
ব্যাকরণ অংশে কিছু টপিকস নির্দিষ্ট আছে। যেমন শব্দগঠন, বানান ও বানানের নিয়ম, বাক্যশুদ্ধি ও প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, প্রবাদের নিহিতার্থ ব্যাখ্যা ও বাক্যগঠন মনোযোগ দিয়ে পড়লে অল্প সময়ে এর জন্য ভালো প্রস্তুতি নেওয়া যায়। ব্যাকরণ অংশের জন্য কতো নদী সরোবর অথবা বাঙলা ভাষার জীবনী, বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, ভাষা-শিক্ষা, দর্পণ বুঝে বুঝে পড়তে হবে।
ভাবসম্প্রসারণের জন্য দেখতে পারেন সৌমিত্র শেখরের বাংলা দর্পণ ও ভালোমানের আরো দু-একটি বই। সহজ-সুন্দর ভাষায় ২০টি প্রাসঙ্গিক বাক্য লিখলেই চলে ভাবসম্প্রসারণে। উদাহরণ আর উদ্ধৃতি দিলে মান বাড়বে। সারমর্ম লিখতে হবে তিন-চারটি সহজ-সুন্দর বাক্যে। সাহিত্য অংশটির পরিধি বেশ বড়। পিএসসি নির্ধারিত লেখক সম্পর্কে ভালো করে পড়বেন প্রথমে। তারপর বাছাই করে অন্য লেখকদের সাহিত্যকর্ম দেখবেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যবিষয়ক প্রশ্নের উত্তর লাল নীল দীপাবলী, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস—বইগুলো থেকে পড়তে পারেন, অপ্রয়োজনীয় অংশগুলো বাদ দিয়ে। উদ্ধৃতি দিলে এতে নম্বর বেশি পাবেন। গ্রন্থ সম্পর্কে না জানলে বা বইটি না পড়ে থাকলে গ্রন্থ সমালোচনা লিখতে পারবেন না। তাই এই অংশে সময় দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিখ্যাত বইগুলোই পড়বেন।
►রচনায় সবচেয়ে বেশি নম্বর
বাংলায় সবচেয়ে বেশি নম্বর বরাদ্দ রচনা লিখনে। এতে থাকবে ৪০ নম্বর। রচনা আসতে পারে সমসাময়িক কোনো ইস্যু, জাতীয় সমস্যা ও সমাধান, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি, তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে। বাংলা রচনা কতটুকু লিখবেন—এ নিয়ে অনেকের চিন্তার শেষ নেই। অনেকেরই ধারণা, যত বেশি লেখা যায় নম্বর তত বেশি। এটা মোটেই ঠিক নয়। প্রাসঙ্গিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়া যদি অযথাই পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা ভরাট করে যান, তাতে লাভ হবে না। বরং এটা পরীক্ষকের বিরক্তির উদ্রেক ঘটাতে পারে। রচনা যত বেশি তথ্য-উপাত্তসমৃদ্ধ করতে পারবেন, ততই ভালো। রচনায় ভালো করার জন্য দৈনিক পত্রিকাগুলোর সম্পাদকীয় পাতা নিয়মিত পড়লে কাজে দেবে। টপিক ধরে ধরে ফ্রিহ্যান্ড লেখার অভ্যাসও এগিয়ে রাখতে পারে।
►ভালো নম্বর পাওয়ার কৌশল -
সাহিত্যের প্রশ্নগুলোর উত্তর এককথায় না লিখে তিন বা চারটি বাক্যে লিখুন। প্রথমে সূচনামূলক একটি বাক্য, মাঝে মূল কথা শেষে এককথায় মন্তব্য, এভাবে লিখতে পারেন। ব্যাকরণের প্রশ্নগুলো সামঞ্জস্য বজায় রেখে লিখুন। অতিরিক্ত লিখবেন না। ভাবসম্প্রসারণে সামঞ্জস্যপূর্ণ ইংরেজি কোটেশন দেওয়া যায়। সারাংশ, সারমর্ম দুর্বোধ্য শব্দে না লিখে সহজ অথচ সাহিত্যরসসমৃদ্ধ শব্দে লিখুন। অনুবাদের ক্ষেত্রে আক্ষরিক অনুবাদ না করে ভাবানুবাদ করুন। ইংরেজি ও বাংলা দৈনিক পত্রিকার আর্টিকল ও সম্পাদকীয় থেকে বাংলা থেকে ইংরেজি আর ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদের চর্চা করলে কাজে আসবে।
গ্রন্থ সমালোচনার ক্ষেত্রে প্রথমেই গ্রন্থ সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য দিন। লেখকের পরিচয়, গ্রন্থ সম্পর্কে আলোচনা বা সমালোচনা, চরিত্রের বর্ণনা, নামকরণের সার্থকতা, গ্রন্থ সম্পর্কে অন্য লেখকদের মন্তব্য, সমাপ্তিসূচক মন্তব্য, এভাবে লিখতে পারেন। কাল্পনিক সংলাপের জন্য পত্রিকার গোলটেবিল বৈঠকগুলোর মিনিটস্, টক শো, গাইড বই থেকে বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে ধারণা নিন। চরিত্র নির্দিষ্ট না করে দিলে তিন-চারটি চরিত্রে সংলাপ লিখুন। গতিশীল সংলাপ লিখুন। এবং সংলাপের শেষে অবশ্যই সমাধানে আসুন।
পত্র, দরখাস্ত, মানপত্র, প্রতিবেদন ইত্যাদির ক্ষেত্রে নিয়মগুলো ঠিক রেখে নিজের ভাষায় লিখুন। প্রবন্ধ রচনার ক্ষেত্রে তথ্যবহুল লেখা লিখুন। অল্প কথায় কাজ হলে বেশি লেখার প্রয়োজন কী? লেখার পরিধি গুরুত্বপূর্ণ নয়। উপস্থাপনা ও তথ্যবহুল সামঞ্জস্যপূর্ণ লেখা বেশি গ্রহণযোগ্য। গুরুত্বপূর্ণ অংশ (তথ্য, উপাত্ত, কবিতার লাইন, বাংলা ও ইংরেজি কোটেশন) রঙিন কালির কলম দিয়ে লিখতে পারেন।
►লিখতে হবে নিজের ভাষায় -
লিখিত পরীক্ষায় দুই ধরনের প্রশ্ন থাকে। একটি ব্যাখ্যামূলক, যাতে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যায় না। যেমন রচনা, ভাবসম্প্রসারণ। আর অন্যটি হলো সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন, মানে ব্যাকরণ। এতে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যায়। ২০০ নম্বরের মধ্যে ১৪০ নম্বরেই মুখস্থবিদ্যার বালাই নেই। ভাবসম্প্রসারণ, সারমর্ম, বাংলা অনুবাদ, কাল্পনিক সংলাপ লিখন, পত্র লিখন, গ্রন্থ সমালোচনা, রচনা লিখন সাধারণত কমন পড়ে না। এতে লিখতে হবে নিজের ভাষায় কিংবা বুঝেশুনে। এগুলো লেখার সাধারণ নিয়মগুলো জানতে হবে। মাথায় রাখতে হবে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত। কোনো বিষয়ে ভালো ধারণা থাকলে নিজের মতো করে লিখতে পারবেন।
►উপস্থাপনায় জোর দিন -
অনেকের উত্তরপত্রে তথ্য কম, একই কথার পুনরাবৃত্তি ও ভুল তথ্য থাকে। এগুলো নম্বর কমিয়ে দেয়। লেখায় থাকতে হবে প্রাসঙ্গিক ও প্রয়োজনীয় সব তথ্য। ভুল বানান ও বাক্য, যতি চিহ্নের সঠিক ব্যবহার না থাকলেও নম্বর কম দেন পরীক্ষকরা। নম্বরের সঙ্গে উত্তরের পরিধির সামঞ্জস্য, আপডেট তথ্য থাকতে হবে। হাতের লেখা ও উপস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাতের লেখা সুন্দর হলে ভালো। না হলেও অসুবিধা নেই। আপনি যা লিখছেন তা যেন স্পষ্ট হয়। অর্থাৎ পরীক্ষক আপনার খাতা পড়তে পারলেই চলবে। লেখায় অতিরিক্ত কাটাকাটি, হাতের লেখা অতিরিক্ত বড় বা ছোট হলে পরীক্ষক বিরক্ত হতে পারেন। এখন থেকেই প্রস্তুতি নিন। পরীক্ষা ভালো হবেই।