আমি উদ্যোগ না নিলে নুসরাতকেই চরিত্রহীন বানিয়ে কুৎসা রটানো হতো: প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ০৮:০৪ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৯ আপডেট: ০৯:০৪ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৯
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অপরাধী যেই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে গণভবনে ব্রুনাই-এ সরকারি সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নুসরাত হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে কথা বলায় তাকে ধন্যবাদ জানান একাত্তর টিভির সাংবাদিক ফারজানা রূপা।
এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি নিজেই এ বিষেয়ে উদ্যোগ নিয়েছি। কারণ আমি উদ্যোগ না নিলে তো মেয়েটিকে চরিত্রহীন বানিয়ে দেওয়া হতো। এছাড়া তাকে নিয়ে নানা ধরনের কুৎসা রটানো হতো। সেই চেষ্টা তারা করেছেও। এজন্য আমি নিজেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। এ হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, বিকাল ৪টায় গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার ব্রুনাই সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেন।
ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়ার আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল ব্রুনাই সফর করেন। সফরে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং একটি বিনিময় নোট স্বাক্ষরিত হয়। এটাই ছিল ব্রুনাইতে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফর।
ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর মৎস্য ডিপ্লোমা ও ভেটেরিনারি কলেজ উদ্বোধন
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিরাজগঞ্জে মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট ও সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ উদ্বোধন করেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন কালে গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা দরিদ্রতাকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। এ জন্য সুপ্রশিক্ষিত জনশক্তি ও আমিষের উৎপাদন বৃদ্ধির উপর বিশেষ দৃষ্টি রাখা হয়েছে। এরই ধারবাহিকতায় এসব প্রকল্প চালু করা হলো। প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে দক্ষ প্রশিক্ষিত জনসম্পদ সৃষ্টির পাশাপাশি আমিষের উৎপাদনও বৃদ্ধি হবে।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ ২০১৩ সালে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০১৮ সালের জুন মাসে প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হয়। এ প্রতিষ্ঠানে ৫০ জন ছাত্রকে গ্র্যাজুয়েশন করার পর বিএসসি ভেট সাইন্স এবং এএইচ ডিগ্রি প্রদান করা হবে। অপরদিকে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের ভিত্তি স্থাপন করা হয় ২০১১ সালে।
