ঢাকা, রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩  |  Sunday, 28 May 2023  |  এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

সরকারী চাকরিতে সুপারিশ এলেই প্রার্থী অযোগ্য


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ০৭:০২ এএম, শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯    
সরকারী চাকরিতে সুপারিশ এলেই প্রার্থী অযোগ্য
সরকারী চাকরিতে সুপারিশ এলেই প্রার্থী অযোগ্য

সরকারী চাকরিতে মন্ত্রী-এমপিদের সুপারিশ নিষিদ্ধ হচ্ছে। চাকরির জন্য মন্ত্রী এমপিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে যে লিখিত সুপারিশপত্র পাঠান তা বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যে সব চাকরি প্রার্থীর নামে এসব সুপারিশ থাকবে তাদের ‘অযোগ্য’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার এরকম সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান মেয়াদে সরকার সরকারী চাকরিতে পূর্ণ মেধা এবং যোগ্যতার ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এছাড়াও সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের জন্য সমন্বিত ডাটা বেইস তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে।

Surfe.be - passive income

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন বিভিন্ন নিয়োগে তদ্বিরের চাপে অতিষ্ঠ। এমনকি বিসিএস পরীক্ষায় ভাইভার সময় কমিশনের কাছে প্রভাবশালীদের তদ্বির আসে। শুধু পিএসসির তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নয়, অন্যান্য সরকারী চাকরির নিয়োগেও মন্ত্রী/এমপিদের তদ্বির এবং সুপারিশ একটি স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পিয়ন, পুলিশের কনস্টেবল, স্বাস্থ্যকর্মী ইত্যাদি সবধরনের নিয়োগে মন্ত্রী/এমপিরা তাদের প্যাডে লিখিত সুপারিশ করে চিঠি দেন। দেখা যায় একটি এলাকায় মাত্র ১০টি পদ আছে অথচ ঐ এলাকার এমপি সুপারিশ পাঠান ২০ জনের।

দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশন উভয়েই মনে করে যে, মন্ত্রী এবং এমপিদের এই ডিও বা সুপারিশের কারণেই নিয়োগ বাণিজ্য হচ্ছে। এক শ্রেণীর দালাল তৈরি হচ্ছে। এদের মাধ্যমে মন্ত্রী এবং এমপিদের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।


বিগত মেয়াদেই পাবলিক সার্ভিস কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারকে পৃথকভাবে এ বিষয়ে সমস্যার কথা জানানো হয়। দুটি প্রতিষ্ঠানই অবিলম্বে এরকম নিয়োগদানের লিখিত সুপারিশ পাঠানো বন্ধের সুপারিশ করে।

পাবলিক সার্ভিস কমিশন বলেছে, একরম সুপারিশ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগে বড় বাধা। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বলছে, এর ফলে তৃণমূলে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ছে।

টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী এবার নিয়োগে অনিয়ম বন্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। ইতিমধ্যে, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে সুপারিশ বা তদ্বির না করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে বলে, একটি সরকারী সূত্র বলছে।


এছাড়াও আওয়ামী লীগ এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছে ‘জাতীয় পর্যায়ে স্বল্প, মধ্যম এবং উচ্চ শিক্ষিত তরুণদের তথ্য সংবলিত একটি ইন্টিগ্রেটেড ডাটাবেইজ তৈরী করা হবে। এর মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের প্রয়োজন ও তরুণদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির জন্য আবেদন করার আহ্বান জানাতে পারবে।’

এই নির্বাচনী অঙ্গীকারের আলোকে একটি সমন্বিত তথ্য ভাণ্ডারের কাজ শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারী সূত্র গুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর সমন্বয়ে এই তথ্য ভাণ্ডার তৈরির লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠনের কাজ শুরু হচ্ছে শিগগিরই।

আপনার মন্তব্য লিখুন...