সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধিতে সরকার ইতিবাচক
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ০৬:০৮ পিএম, সোমবার, ২০ আগস্ট ২০১৮
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, ‘এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আমরা পারস্পরিক আলোচনা করছি, বাড়ানো হতে পারে।’

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২।
পরে সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়টিকে সরকার ইতিবাচকভাবে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এন্ট্রিটা (চাকরিতে প্রবেশের বয়স) বাড়তে পারে, আশা করছি। খুব তাড়াতাড়ি জানতে পারবেন। তবে অবসরের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে নির্দেশনা নেই।’
দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়া, উচ্চশিক্ষার হার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশনজট, গড় আয়ু বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে চাকরিপ্রত্যাশীরা দীর্ঘদিন ধরে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
দাবি আদায়ে কয়েকবার রাজপথেও নেমে এসেছিলেন তারা। এই দাবি সংসদেও উঠেছিল, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বারবার চাকরিতে ঢোকার বয়স বাড়ানোর দাবি নাকচ করে দেয়া হয়।
মাস দু'য়েক আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার সুপারিশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেন, ‘স্থায়ী কমিটির সুপারিশ আমাদের পর্যালোচনা করতে হবে। আমরা কতটুকু কী বাস্তবায়ন করতে পারব বা বাস্তবায়ন করতে পারব কিনা সেটা দেখব। আমরা এ ব্যাপারে পেপারস তৈরি করছি। আমাদের কিছু সময় দিতে হবে। তারপর যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে কোন কিছু আমরা গুরুত্বহীনভাবে গ্রহণ করছি না।’ আগামী অক্টোবরে গঠিত হবে নির্বাচনকালীন সরকার। এর তিন মাসের মধ্যেই হবেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।