যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়াল
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ০৪:০৩ পিএম, মঙ্গলবার, ১০ মার্চ ২০২০ আপডেট: ০৪:০৩ পিএম, মঙ্গলবার, ১০ মার্চ ২০২০
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এক দিনে প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে এক হাজার ছাড়িয়েছে। সেখানে মারা গেছে কমপক্ষে ২৮ জন। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ নিয়ে দেশটিতে সমালোচনার ঝড় বইছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাদুর্ভাবটিকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি এবং ভাইরাসটি শনাক্তের পরীক্ষা-নিরীক্ষাতেও পিছিয়ে পড়েছে দেশটি।
আজ বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসাব অনুসারে, করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯–এ এক দিনেই যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। মোট আক্রান্ত ১ হাজার ২৫ জন। মারা গেছে কমপক্ষে ২৮ জন। এক দিন আগেও আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৫৫০।
রোগটির এভাবে বিস্তারের সঙ্গে রোগ নির্ণয় পরীক্ষা ফেডারেল থেকে অঙ্গরাজ্যগুলোর গবেষণাগারে পাঠানোর সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। রোগতত্ত্ববিদেরা বলছেন, শুরুতে অনেক কমসংখ্যক লোককে লক্ষ্য করে রোগ নির্ণয় কৌশল গ্রহণ ও ত্রুটিযুক্ত কিটের কারণে মার্কিন কর্তৃপক্ষের রোগটি শনাক্ত করার সক্ষমতা ছাড়িয়ে যায়।
এ ব্যর্থতায় ভাইরাসটি দেশজুড়ে ছড়িয়েছে বলে গতকাল সোমবার হপকিন্স ইউনিভার্সিটি ও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষাবিদেরা স্বাস্থ্যবিষয়ক ম্যাগাজিন জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে (জামা) লিখেছেন।
দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স হোয়াইট হাউসে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ১০ লাখের বেশি ব্যক্তি পরীক্ষা করার পর্যায়ে রয়েছে। তিনি জানান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারত্বে সরকার আরও বেশিসংখ্যক মানুষের পরীক্ষার ব্যবস্থা নিচ্ছে।
রোগ নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা কেন্দ্রের (সিডিসি) সবশেষ তথ্য অনুসারে, গতকাল পর্যন্ত সাড়ে আট হাজার পরীক্ষা করা হয়েছে।
বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে যেদিন প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়, একই দিনে দক্ষিণ কোরিয়াতেও প্রথম শনাক্ত হয়। অথচ এ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় ১ লাখ ৮৯ হাজারের বেশি পরীক্ষা করা হয়েছে।
জার্নালে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির মিশেল মেলো সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘ওয়াশিংটন সমস্যাটির গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণকে না সামঞ্জস্যপূর্ণ না যথাযথ বার্তা দিচ্ছে। আমি চিন্তিত যে এর ফলে কমিউনিটিতে রোগটি ছড়ানোর ক্ষেত্রে যতটা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তার চেয়ে অনেক কম পদক্ষেপ নেবেন বাসিন্দারা।’ জ্বর বা কাশি নিয়ে আসা ব্যক্তি বা অসুস্থ ব্যক্তিদের কথা প্রকাশ করা ব্যক্তিদের যেকেউ পরীক্ষা করাতে চাইলে তাদের দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
এক মাসের বেশি সময় আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সেখানে প্রথম একজন রোগী মারা যান।