ঢাকা, রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩  |  Sunday, 28 May 2023  |  এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

মেসি রোনালদো নয়, নেইমারই বিশ্বসেরা


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ১১:০১ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১   আপডেট:   ১১:০১ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১  
মেসি রোনালদো নয়, নেইমারই বিশ্বসেরা
মেসি রোনালদো নয়, নেইমারই বিশ্বসেরা

কথায় আছে, এক বনে দুই বাঘ থাকে না। কিন্তু সব ক্ষেত্রে কথাটা কি খাটে? দুই ‘বাঘ’ নয়, তিন ‘বাঘ’ও তো থাকে—অন্তত ফুটবল মাঠে। লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও নেইমার। প্রশ্নটা বহু আগে থেকেই উঠছে তাঁদের ঘিরে—সেরা কে? এই প্রশ্ন নিয়ে এত বেশি চর্চা হয় যে, এত দিনে তা ক্লিশে হয়ে পড়েছে। কিন্তু খেলাধুলায় সেরা নির্ধারণ না করে মানুষ কী থাকতে পারে! পারে না বলেই একই প্রশ্ন ওঠে বারবার।

 একেকজনের উত্তরে ঘুরেফিরে উঠে আসে একেকজনের নাম। কাইও রিবেইরোর বাজির ঘোড়া যেমন নেইমার।

রিবেইরোকে অপরিচিত লাগাটা অস্বাভাবিক কিছু না। ১৯৯৬ সালে ব্রাজিলের হয় ৪ ম্যাচ খেলেছিলেন সাবেক এ ফরোয়ার্ড। ১১ বছরের ক্লাব ক্যারিয়ারে পাল্টেছেন মোট ১১ ক্লাব। সাও পাওলো, ইন্টার মিলান, নাপোলি ও সান্তোসের মতো ক্লাব ঘুরেছেন। ১৯৯৫ সালে সাও পাওলো থেকে ১৯ বছর বয়সে কিশোরদের দলবদলের রেকর্ড ভেঙে ইন্টারে যোগ দিয়েছিলেন সাবেক এই ব্রাজিল ফরোয়ার্ড। তাঁর মতে, এই মুহূর্তে নেইমারই বিশ্বের সেরা ফুটবলার। মেসি–রোনালদোকেও পেছনে ফেলেছেন পিএসজি তারকা।

নেইমার ইউরোপে পা রাখার পর থেকে তাঁকে বিশ্বসেরাদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এখনো ব্যালন ডি'অর জিততে না পারলেও ২০১৮ সালে নিজেকে একবার বিশ্বসেরা হিসেবে দাবি করেছিলেন ২৮ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড। তখন অবশ্য বলেছিলেন, তিনি বিশ্বসেরা হলেও মেসি–রোনালদো অন্য গ্রহের। কাইও রিবেইরো অবশ্য তা মনে করছেন না। আর্জেন্টাইন ও পর্তুগিজ তারকাকে এই গ্রহেরই মনে করছেন তিনি। এ দুই তারকা ৩০ পেরিয়ে যাওয়ায় এবং নেইমার ২৮ বছরে থাকায় হিসাবটা সহজ করে ফেলেছেন রিবেইরো। তাঁর মতে, নেইমার এখন সেরা ফর্মেই আছেন। পিএসজির হয়ে ১০০ ম্যাচে ৮১ গোল–ই তার প্রমাণ।


ব্রাজিলের রেডিও অনুষ্ঠান ‘পানিকো জোভেম পান’–এ রিবেইরো বলেন, ‘তার (নেইমার) কিছু আচরণের সঙ্গে আমরা একমত না হলেও এটা সত্য যে এই মুহূর্তে নেইমারই বিশ্বসেরা ফুটবলার। মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চেয়ে ভালো।’ সান্তোস থেকে ২০১৩ সালে বার্সেলোনায় যোগ দেন নেইমার। সেখানে মেসি ও লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে ‘এমএসএন’ জুটিতে খ্যাতির ভিত গড়ে তোলেন। এরপর দলবদলের বিশ্বরেকর্ড নতুন করে লিখিয়ে ২০১৭ সালে যোগ দেন পিএসজিতে।

ক্যারিয়ারের এ পথ পর্যন্ত অনেকবারই বিতর্কের মুখে পড়েছেন নেইমার। মাঠ ও মাঠের বাইরে তাঁর আচরণ ও কর্মকাণ্ড মাঝেমধ্যেই বিতর্কের ঝড় তোলে। চোটের কারণেও মাঝেমধ্যেই মাঠের বাইরে থাকতে হয় নেইমারকে। কিন্তু ফর্মে থাকা নেইমারের খেলা দেখার মজাই অন্য রকম। ২০১৫ ব্যালন ডি'অর পুরস্কারে তৃতীয় হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় নেইমারকে।

নেইমারকে আরও একটি জায়গায় এগিয়ে রাখছেন রিবেইরো। আধুনিক সময়ে কোচের কথার বাইরে যান না ফুটবলাররা। মাঠে কোচ যা করতে বলেন তার অন্যথা খুব কমই ঘটে। নেইমার এদিক থেকে আলাদা বলে মনে করেন রিবেইরো। তাঁর মতে, ব্রাজিলিয়ান তারকা নিজের স্বকীয়তা ধরে রেখেছেন, ‘এই প্রজন্ম পুরোপুরি কোচের ওপর নির্ভরশীল। এটা ভালো কিছু না। আমাদের প্রজন্মে কোচের কথার গুরুত্বপূর্ণ অংশ নেওয়া হতো। কোনো বিষয়ে একমত হতে না পারলে তা বলা হতো। খেলোয়াড়দের এখন দায়িত্ববোধের অভাব আছে। তাঁরা কোচের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল।’

আপনার মন্তব্য লিখুন...