ঢাকা, রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩  |  Sunday, 28 May 2023  |  এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

ভবানীপুরের উপনির্বাচনের প্রচার জমে উঠেছে


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ০২:০৯ এএম, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট:   ০২:০৯ এএম, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১  
ভবানীপুরের উপনির্বাচনের প্রচার জমে উঠেছে
ভবানীপুরের উপনির্বাচনের প্রচার জমে উঠেছে

জমে উঠেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের প্রচার। এই আসনে প্রার্থী এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী আইনজীবী প্রিয়াংকা টিবরেওয়াল এবং বাম দল সিপিএমের শ্রীজীব বিশ্বাস। এই তিন প্রার্থীই এখন প্রচার মাঠে। জোরকদমে শুরু করেছেন জয়ের লক্ষ্যে প্রচার।

ভবানীপুর বিধানসভা আসনে নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আসন ছেড়ে লড়েছিলেন নন্দীগ্রাম আসনে। নির্বাচনে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ১ হাজার ৯৫৬ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান মমতা। তবে এরপরও ভারতীয় সংবিধান মেনে মমতাকে অস্থায়ীভাবে বসানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে। নিয়ম হলো, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছয় মাস মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে পারবেন। আর ওই ছয় মাসের মধ্যে তাঁকে এই রাজ্যের যেকোনো একটি বিধানসভা আসন থেকে জয়ী হয়ে আসতে হবে। সেই লক্ষ্যে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ভবানীপুরের আসনটি ছেড়ে দেন। এই আসনে ভোট হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। ফল ঘোষণা হবে ৩ অক্টোবর।

এই আসনে মমতা মনোনয়নপত্র জমা দেন ১০ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াংকা টিবরেওয়াল এবং সিপিএমের শ্রীজীব বিশ্বাস। এখন এই তিন প্রার্থীর প্রচারে ভবানীপুর এখন সরগরম। জয়ের ব্যাপারে তিন প্রার্থীই আশাবাদী। তবে তৃণমূল আশা করছে, বিপুল ভোটে জিতবেন মমতা। কম করে এক লাখ ভোটের ব্যবধানে জিতবেন তিনি। সেই লক্ষ্য নিয়ে তৃণমূল এবার ভবানীপুরে প্রচারের ধার বৃদ্ধি করেছে। নেমে পড়েছেন রাজ্যের তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রীরা।
তৃণমূল নেতা ও উত্তর ২৪ পরগনার কামাহাটির বিধায়ক মদন মিত্র গতকাল দত্তপুকুরের তৃণমূল আয়োজিত একটি রক্তদান শিবিরে যোগ দিয়ে বলেছেন, ভবানীপুরে মমতাকে হারানোর কোনো কারোর শক্তি নেই।

আরেক তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল বলেন, ভবানীপুর আসনে পরাজয়ের বড় শিক্ষা পাবে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াংকা টিবরেওয়াল। এই শিক্ষা তাঁর সারা জীবন মনে থাকবে। যুগ যুগ ধরে মনে গেঁথে রাখবে এই পরাজয়ের ইতিহাস। জেতা তো দূরের কথা, হারাতে হবে তাঁর জামানতও।

তবে টিবরেওয়াল বলেন, অত সহজ হবে না মমতার জেতা। নন্দীগ্রামে তো হেরে গেছেন। এবার ভবানীপুরে হারলে অবাক হওয়ার কারণ থাকবে না। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার মায়ের মতন। আমি তাঁর কাছে গিয়ে জয়ের জন্য আশীর্বাদ নেব।’ যদিও গতকালই টিবরেওয়ালের ছোট ভাই অসুস্থ অবস্থায় হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ খবরে টিবরেওয়াল মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও বন্ধ রাখেননি নির্বাচনী প্রচার।

আপনার মন্তব্য লিখুন...