পাঁচ দিনেও মেরামত হয়নি আশাশুনিতে ভেঙে যাওয়া রিংবাঁধ
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ০৮:০৯ পিএম, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ আপডেট: ০৮:০৯ পিএম, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
খোলপেটুয়া নদীর সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তালতলা এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ভেঙে যাওয়া রিংবাঁধ পাঁচ দিনেও সংস্কার করা যায়নি। ফলে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত ইউনিয়নের ১৮টি গ্রামের মধ্যে ১১টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ২২ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
গত শুক্রবার বেলা একটার দিকে খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারের তোড়ে তালতলা এলাকার ওই স্থানের ১০০ ফুট বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। ভেঙে যাওয়া রিংবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সংস্কার করার দুই দফা চেষ্টা করে গ্রামবাসী ব্যর্থ হন।
উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবু দাউদ বলেন, ২০২০ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে প্রতাপনগর এলাকার পাউবোর একাধিক স্থান ভেঙে যায়। তখন ইউনিয়নের ১৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় ৩২ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছিল। বছর পার হতে না হতেই ২০২১ সালের ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে আবার বাঁধের আটটি স্থান ভেঙে প্রতাপনগর ইউনিয়নের ১৮টির মধ্যে ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়। সাতটি স্থান সংস্কার করা হলেও বন্যতলা এলাকা সংস্কার করা যায়নি। বাধ্য হয়ে গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সাড়ে তিন কিলোমিটার রিংবাঁধ দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢোকা বন্ধ করেছিলেন।
প্রতাপনগর এপিএস কলেজের অধ্যক্ষ মুজিবর রহমান বলেন, শুক্রবার বেলা একটার দিকে খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারের পানিতে রিংবাঁধের তালতলা এলাকা থেকে ১০০ ফুট ভেঙে গ্রামে পানি ঢোকা শুরু হয়। বর্তমানে ভাঙন বেড়ে ১৫০ ফুটে দাঁড়িয়েছে।
মানিক হাওলাদার ও গোলাম রসুল নামের দুই বাসিন্দা বলেন, ভাঙনে ৩০টি পরিবারের ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। তারা অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়েছে।
প্রতাপনগর ইউপির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, ভাঙনের কারণে প্রতাপনগর-হলদিপোতা সড়কের গৌরীমহল এলাকার সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে খোলপেটুয়ার স্রোতের তীব্রতা না কমলে ভেঙে যাওয়া রিংবাঁধ সংস্কার করা কঠিন।
পাউবোর (বিভাগ-২) নির্বাহী কর্মকর্তা রাশিদুল ইসলাম বলেন, বন্যতলা এলাকার বাঁধ সংস্কারের জন্য কাজ শুরু হয়েছে। ওই বাঁধ সংস্কার না হলে রিংবাঁধ থাকবে না। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।