ঢাকা, শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩  |  Friday, 9 June 2023  |  এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

পরিশ্রম কখনই বৃথা যায় না


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ১১:০৩ পিএম, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০১৯    
পরিশ্রম কখনই বৃথা যায় না
পরিশ্রম কখনই বৃথা যায় না

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মো. দিদারুল ইসলাম। তিনি ৩৭তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে ৮ম স্থান অধিকার করেছেন। তার সফলতার গল্প লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।


যাত্রা যখন শুরু :


কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন মো. দিদারুল ইসলাম। পিতা মৃত মো. নুরুল ইসলাম ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মা মাহমুদা খাতুন একজন গৃহিণী। ছোটবেলায় দস্যিপনা ছিল তার নিত্যসঙ্গী। তারপরও ৫ম শ্রেণিতে পেয়েছেন বৃত্তি। কিন্তু কখনো প্রথম সারির ছাত্র হয়ে উঠতে পারেননি। ইসলামী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৩১ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

তারপর শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৩০ পেয়ে কলেজ জীবনের ইতি ঘটান। প্রথম সারির শিক্ষার্থী না হলেও অন্য দশজন শিক্ষার্থীর মতো স্বপ্ন দেখেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়বেন। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। অবশেষে ভর্তির সুযোগ পান মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ ছিল। রবীন্দ্রনাথ, শেক্সপিয়র, শরৎচন্দ্র, কাজী নজরুল রচনাবলি পড়েছেন। আর্থার শার্লক হোমস সিরিজ পড়ে পুলিশ অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।


প্রস্তুতি নিলেন যেভাবে :


বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ৪র্থ বর্ষ থেকেই বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। বিসিএসের সিলেবাস অনুসারে বিভিন্ন ধরনের বই পড়তেন। নিজে হ্যান্ড নোট তৈরি করে তা অনুসরণ করতেন। বাংলাপিডিয়া, বাংলাদেশের ইতিহাসভিত্তিক বই, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই বেশি বেশি পড়া হতো।

প্রতিদিন ঘুমানোর আগে তার পরের দিনের জন্য একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করতেন আর তা বাস্তবায়ন করতেন। জাতীয় দৈনিক পত্রিকা পড়ার অভ্যাস ছিল। ইংরেজি ও গণিতের প্রতি দৈনিক বাড়তি সময় দিতেন। বিসিএসের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় বাবার কথা মনে করে উদ্যোম নিয়ে পড়তাম।


বিসিএস যাত্রায় সফল হতে :


লক্ষ্যস্থির রেখে চেষ্টা চালিয়ে গেলে সাফল্য আসবেই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন দিদার। যারা বিসিএস পরীক্ষা দিয়েও সাফল্যের মুখ দেখছে না তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘কখনো হতাশ হওয়া যাবে না। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রেখে সামর্থ্যরে



সবটুকু দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। নিজের দুর্বল ও সবল দিকগুলো খুঁজে বের করতে হবে। সে অনুযায়ী, প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রস্তুতিকালে পড়ালেখা ছাড়া অন্য কোনো দিকে মন দেওয়া যাবে না। মানুষের মেধা মনন ও পরিশ্রম কখনই বৃথা যায় না। এক দিন না এক দিন তা সাফল্যের মুখ দেখবেই।

আপনার মন্তব্য লিখুন...