ধ্বংস করা হলো ৫৫৩ টি গাঁজা গাছ
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ০৫:০৪ পিএম, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৯
পুলিশ জানিয়েছে, এই গাঁজা গাছের ওজন ৮৫ কেজি, যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১৭ লাখ টাকা।
বান্দরবানের লামা উপজেলায় ২০ শতক জমিতে চাষ করা ৫৫৩ টি গাঁজা গাছ ধ্বংস করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে উপজেলা সদর ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি রওজাঝিরি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব গাঁজা গাছ ধ্বংস করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এই গাঁজা গাছের ওজন ৮৫ কেজি, যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১৭ লাখ টাকা।অভিযানের সময় গাঁজা গাছের বীজসহ খুরশিদা বেগম (৩৫) নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আমিনুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রওজার ঝিরিতে অভিযান চালায়। এ সময় কয়েক মাস আগে ইয়াহিয়া মিন্টুর রোপন করা গাঁজার ৩০৩টি পূর্ণ বয়স্ক ও ২৫০টি চারা গাছ ধ্বংস করে পুলিশ। তবে গাঁজা চাষি ইয়াহিয়া মিন্টুকে আটক করা যায়নি। ইয়াহিয়া মিন্টু আটক নারী খুরশিদার স্বামী।
স্থানীয়রা জানায়, গত বছর লামা পৌরসভা এলাকার হরিণ ঝিরি গ্রামের বাসিন্দা জাকের হোসেন কুতুবীর ছেলে ইয়াহিয়া মিন্টু ছাগল খাইয়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুস ছালাম লেদুর কাছ থেকে রওজাঝিরিস্থ ৬০ শতক জমি ১৫ হাজার টাকায় লিজ নেন। চল্লিশ শতাংশ জমিতে সবজি চাষ করলেও এর পাশাপাশি আনুমানিক ২০শতক জমিতে গাঁজার চাষ করেন ইয়াহিয়া মিন্টু।
আশপাশের লোকজন প্রথমে বুঝতে না পারলেও এক পর্যায়ে শনিবার সকালে গাঁজা চাষের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকদের খবর দেয়। এরপর অভিযানে নামে পুলিশ।
এ বিষয়ে লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, 'ইউনিয়নের রওজারঝিরিতে গাঁজা চাষের বিষয়টি কেউ কোনোদিন আমাদের জানায়নি।'
এ বিষয়ে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার আভিযোগে খুরশিদা বেগমকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি মূল গাঁজাচাষি ইয়াহিয়া মিন্টুকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হবে।
