ঢাকা, সোমবার ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ | এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

দেশের প্রথম গ্রিন বন্ডের টাকা যাবে ক্ষুদ্রঋণে


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ০৬:০৪ এএম, বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১    
দেশের প্রথম গ্রিন বন্ডের টাকা যাবে ক্ষুদ্রঋণে
দেশের প্রথম গ্রিন বন্ডের টাকা যাবে ক্ষুদ্রঋণে

পরিবেশের ক্ষতি করে না এমন ছোট ছোট উদ্যোগে ক্ষুদ্রঋণ সহায়তা দিতে এবার বন্ড ছেড়ে টাকা তুলছে সামাজিক কল্যাণে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান সাজেদা ফাউন্ডেশন। পরিবেশবান্ধব নানা উদ্যোগে ঋণসহায়তা দিতে এ বন্ড ছাড়া হচ্ছে বলে এটির নাম গ্রিন বন্ড। দেশের প্রথম গ্রিন বন্ড এটি। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আজ বুধবার নতুন ধরনের এ বন্ডের অনুমোদন দিয়েছে। বিএসইসির কমিশন সভায় নেওয়া এ সিদ্ধান্ত পরে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
 
সাজেদা ফাউন্ডেশনের বন্ডের আকার ১০০ কোটি টাকা। অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
বিএসইসি জানিয়েছে, সাজেদা ফাউন্ডেশনের বন্ডের আকার ১০০ কোটি টাকা। এটির মেয়াদ হবে দুই বছর। মেয়াদ শেষে বন্ডটি পুরোপুরি অবসায়িত হবে। বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ পরিবেশের উন্নয়ন নিশ্চিত হয় এমন সব নতুন ও চলমান প্রকল্পে ক্ষুদ্রঋণ হিসেবে বিতরণ করা হবে। বন্ডটি বিক্রি করা হবে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তির কাছে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে। বন্ডটির অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। ক্ষুদ্রঋণের জন্য অর্থ সংগ্রহের এ বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে রয়েছে সেনাকল্যাণ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি। আর বন্ডটির প্রধান সমন্বয়ক বা লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে রয়েছে বহুজাতিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।

১৯৮৭ সালে এ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
বিএসইসি সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাজেদা ফাউন্ডেশনের বন্ডের টাকায় শস্যবীজ, সৌরবিদ্যুৎ ক্রয় বা উৎপাদনসহ পরিবেশের উন্নতি হয় এমন প্রকল্পে অর্থায়ন করবে। সাজেদা ফাউন্ডেশনের মালিকানার বড় অংশীদার শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রেনেটা ফার্মাসিউটিক্যালস। সাজেদা ফাউন্ডেশন ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থানসহ নানা ধরনের সামাজিক কল্যাণমূলক কাজ করে থাকে। ১৯৮৭ সালে এ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।

আপনার মন্তব্য লিখুন...