Oops! It appears that you have disabled your Javascript. In order for you to see this page as it is meant to appear, we ask that you please re-enable your Javascript!
ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩  |  Friday, 31 March 2023  |  এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

দুই বছর পর রমনায় ছায়ানটের বর্ষবরণের প্রস্তুতি


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ০৯:০৪ পিএম, শনিবার, ২ এপ্রিল ২০২২   আপডেট:   ০৯:০৪ পিএম, শনিবার, ২ এপ্রিল ২০২২  
দুই বছর পর রমনায় ছায়ানটের বর্ষবরণের প্রস্তুতি
দুই বছর পর রমনায় ছায়ানটের বর্ষবরণের প্রস্তুতি

করোনার কারণে দুই বছর বিরতির পর এবার রাজধানীর রমনায় পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের ঐতিহ্যবাহী প্রভাতি অনুষ্ঠান করবে ছায়ানট। এ উপলক্ষে এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে আয়োজকেরা জানিয়েছেন।

আজ শনিবার বিকেলে ধানমন্ডির ছায়ানট–সংস্কৃতি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ছায়ানটের সভাপতি বরেণ্য সংগীতজ্ঞ সন্‌জীদা খাতুন জানান, নব–আনন্দে জেগে ওঠার প্রেরণা নিয়ে পয়লা বৈশাখের প্রভাতি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। এ জন্য এক মাসের বেশি সময় ধরে মহড়া চলছে।

সন্‌জীদা খাতুন বলেন, ‘গত দুই বছর আমরা করোনা অতিমারির এক ভয়াবহ সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি। অনেককে হারিয়েছি। কিন্তু তারপর সরকার ও জনসাধারণের সম্মিলিত প্রয়াসে সেই দুঃসময় অতিক্রম করে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এক নতুন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু হয়েছে। এই নবজাগরণকে আমরা আনন্দের সঙ্গে উদ্‌যাপন করতে চাই। সে কারণে এবার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূলভাব নির্ধারণ করা হয়েছে নব–আনন্দে জাগো। গানগুলোও সেভাবে সাজানো হয়েছে।’

ছায়ানটের সভাপতি বাঙালির জাতিসত্তার উন্মেষ এবং স্বাধিকার চেতনার বিকাশে সাংস্কৃতিক কর্মপ্রয়াসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যে বাঙালি, পাকিস্তান আমলে সে কথা বলার সাহস পেতাম না। একটা ভীতির পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। সেই পরিবেশে বাঙালি সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরতে ছায়ানটের এই পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল। বাঙালিদের মনে স্বাধিকার বোধ জাগ্রত করতে পেরেছিল। এটাই ছায়ানটের বড় অর্জন। আজ এই অনুষ্ঠান সারা দেশে ছড়িয়ে গেছে। পয়লা বৈশাখের উৎসব মানুষের মনে যে জাগরণ সৃষ্টি করেছিল, তা আজ দেশের সবচেয়ে বড় উৎসবে পরিণত হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক শিল্পী লাইসা আহমদ লিসা। তিনি বলেন, ১৯৬৭ সালে রমনার বটমূলে ছায়ানটের যে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ই কেবল প্রথমবার তাতে ছেদ পড়ে ছিল। এরপর করোনা অতিমারির কারণে গত দুই বছর বটমূলে অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। অনলাইনে সংক্ষিপ্ত আয়োজনে অনুষ্ঠান হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় এবার অমর একুশের বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বইমেলার প্রেরণা নিয়ে দুই বছর পর ছায়ানট আবার রমনার বটমূলে বর্ষবরণের প্রস্তুতি নিয়েছে। সাধারণত সোয়া শ শিল্পী প্রতিবছর এতে অংশ নেন। স্বাস্থ্যবিধির বিবেচনায় এবার শিল্পীর সংখ্যা কমানো হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, এবার যন্ত্রবাদন ও গানের সম্মেলনে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। গানগুলো শ্রোতাদের চমকিত করবে। দুঃসময় অতিক্রম করে আনন্দময় কর্মজীবনের প্রেরণা থাকবে বছরের শুরুর এই গানের আসরে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী, সহসভাপতি আতিউর রহমান ও শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল। ছায়ানটের শিল্পীদের সম্মেলক কণ্ঠে ‘বাজ রে বীণা বাজ’ গানটি দিয়ে শুরু হওয়া আজকের এই আয়োজন শেষ হয়েছিল ‘বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা/ বিপদে আমি না যেন করি ভয়’ গানটি দিয়ে।

বাংলাদেশ থেকে আরও পড়ুন

বাংলাদেশ রাজধানী ঢাকা রাজধানী বাংলা বর্ষবরণ পয়লা বৈশাখ

আপনার মন্তব্য লিখুন...