জাতিসংঘের প্রস্তাব সমর্থনকারীদের রাষ্ট্রদূতকে তলব
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ১১:১২ পিএম, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬
নিরাপত্তা পরিষদের ওই প্রস্তাবে ইসরায়েলকে পূর্ব জেরুজালেমসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সব স্থানে বসতি স্থাপন কার্যক্রম অবিলম্বে সম্পূর্ণ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। পরিষদ গত শুক্রবার ওই প্রস্তাব পাস করে। ১৯৭৯ সালের পর জাতিসংঘে এই প্রথম ইসরায়েলি বসতির নিন্দা জানিয়ে কোনো প্রস্তাব পাস হলো। এটি ভেটো দিয়ে আটকে না দিয়ে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ব্যতিক্রমী নজির দেখিয়েছে। দেশটির কৌশল হিসেবে ভোটদানে বিরত থাকায় পরিষদের অন্য সদস্যদের ভোটে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এটিকে ‘জাতিসংঘে ইসরায়েলের ওপর লজ্জাজনক আঘাত’ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্ত ‘একপেশে ও লজ্জাজনক’। তবে তাঁরা এটা আটকাবেন।
আলোচিত প্রস্তাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়নি। তবু ইসরায়েল সরকারের নেতা ও কর্মকর্তারা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) অভিযুক্ত হওয়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন। পাশাপাশি তাঁরা ভাবছেন, এই প্রস্তাবের জেরে কোনো কোনো দেশ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী এবং সেখানে উৎপাদিত পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণ অবৈধ। তবে ইসরায়েল তা মানে না।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এমানুয়েল নাহাশন বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়া দেশের ১৪ জন রাষ্ট্রদূতকে গতকাল জেরুজালেমে তলব করা হয়।