কোটি মানুষ বহুমুখী দারিদ্র্যের কবলে
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ০১:১২ এএম, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১ আপডেট: ০১:১২ এএম, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
দেশের ২৪ দশমিক ১ শতাংশ বা তিন কোটি ৯২ লাখ মানুষ বহুমুখী দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করেন। বাস্তব জীবনে তাঁরা নানা ধরনের বঞ্চনার শিকার হন, যেমন দুর্বল স্বাস্থ্যসুবিধা, অপর্যাপ্ত শিক্ষা ও নিম্নমানের জীবন।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচনে বড় সফলতা অর্জন করেছে। কিন্তু বহুমুখী দারিদ্র্যের সূচকে দেশের বড় একটি জনগোষ্ঠী এখনো দারিদ্র্যের কবলে পতিত। ইউএনডিপি ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক যৌথ প্রতিবেদন ‘দ্য ২০২১ গ্লোবাল মাল্টিডাইমেনশনাল পভার্টি ইনডেক্সে’ এই তথ্য উঠে এসেছে।
তবে দেশের সব অঞ্চলে দারিদ্র্য বিমোচনের হার এক নয়। প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সিলেট অঞ্চলের দারিদ্র্য বিমোচনের হার ছিল অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় কম।
দারিদ্র্য সাধারণত অর্থের অভাব দিয়ে পরিমাপ করা হয়। তবে দরিদ্র মানুষেরা দারিদ্র্যের বিচার করার ক্ষেত্রে আরও বিভিন্ন মাত্রা হিসাব করেন। দরিদ্র মানুষ একসঙ্গে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। যেমন তাঁদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বাসস্থানে সমস্যা থাকতে পারে। দারিদ্র্যের সামগ্রিক চিত্র পরিমাপ করতে বহুমুখী দারিদ্র্যের সূচকে এসব বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়। অথচ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের প্রথম অভীষ্ট হচ্ছে পৃথিবীর বুক থেকে সব ধরনের দারিদ্র্য দূর করা।
জাতিসংঘ ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই যৌথ প্রতিবেদন মূলত তিনটি খাত, যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যাপিত জীবনের অধীনে ১০টি সূচকের ভিত্তিতে করা হয়েছে। এতে দেখা গেল, দেশের বড় একটি জনগোষ্ঠী বহুমুখী দারিদ্র্যের শিকার।
এই সমস্যা মোকাবিলায় অর্থনীতিবিদেরা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধির পরামর্শ দেন।
তবে এই সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে ভালো করেছে।