ঢাকা, রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩  |  Sunday, 28 May 2023  |  এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

করোনাভাইরাসে সর্বনাশ রোনালদোর!


ক্রীড়া ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ০১:০৩ এএম, রবিবার, ৮ মার্চ ২০২০   আপডেট:   ০২:০৩ এএম, রবিবার, ৮ মার্চ ২০২০  
করোনাভাইরাসে সর্বনাশ রোনালদোর!
করোনাভাইরাসে সর্বনাশ রোনালদোর!

চীনের পর ইতালিতেই করোনাভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি টের পাচ্ছে। এরই মধ্যে এই ভাইরাসে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২৩০ ছাড়িয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১২০০ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর দেশটির এক-তৃতীয়াংশ জনগণকে গৃহবন্দী করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে ঘরে বসে থাকতে হবে আগামী বেশ কিছু দিন। এপ্রিলের আগে সব স্কুল বন্ধের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। জীবনই যেখানে সংশয়ে, এতসবের মধ্যে ফুটবল তাই গুরুত্ব হারিয়েছে।

বহু বছর পর ইতালিয়ান লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাচ্ছে। কখনো জুভেন্টাস, কখনো ইন্টার মিলান, আবার কখনো লাৎসিও লিগের শীর্ষস্থান বুঝে নিচ্ছেন। তবে টানা আটবারের চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাসকেই ফেবারিট ধরা হচ্ছে। রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ইতালিতে এসে লিগ জেতার স্বাদ পেয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কিন্তু তাতে মেসিকে ছাপিয়ে ব্যালন ডি’অর জেতা হয়নি তাঁর। এবার তাই ঘরোয়ার সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগও জয়ের স্বপ্ন দেখছেন রোনালদো। সে স্বপ্ন বড় এক ধাক্কা খেতে পারে । কারণ, করোনাভাইরাসের জন্য পুরো লিগও বাতিল হতে পারে।

করোনার প্রকোপ ঠেকাতে ইতালিয়ান লিগে এপ্রিল পর্যন্ত সব ম্যাচ দর্শকহীন মাঠে খেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে দুইটায় ইন্টার মিলানের বিপক্ষে খেলবে রোনালদোর জুভেন্টাস। সেটিও দর্শকশূন্য মাঠেই। কিন্তু ইতালিয়ান ফুটবলারদের অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দামিয়ানো তোমাসি দাবি করেছেন, কোনো বিলম্ব না করেই লিগের সব খেলা থামিয়ে দেওয়া উচিত।

ইতালির উত্তরাঞ্চলে সবাইকে গৃহবন্দী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মিলানের মতো শহরও আছে। এ অবস্থায় এসব অঞ্চলে কেউ যেতে পারবে না, কেউ সেখান থেকে বেরোতেও পারবেন না। এমন অবস্থায় তোমাসি টুইটারে লিখেছেন, ‘লিগ থামাও। আমাদের আরও (সংক্রমণ) কিছু দরকার? ফুটবল থামাও। আগে স্বাস্থ্য, পরে অন্য কিছু।’

ইতালির ফুটবল ফেডারেশন সভাপতিও ইঙ্গিত দিয়েছেন, পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে লিগ স্থগিত করে দেওয়ার ঘোষণা আসতে পারে, ‘যদি একজন খেলোয়াড়ও করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়, পুরো মৌসুম স্থগিত করার সিদ্ধান্তও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। এমন অবস্থায় সম্ভাব্য সবকিছুই আমাদের করতে হবে। সবার আগে ক্রীড়াবিদদের স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ, তারপর আমরা দেখব সেটা প্রতিযোগিতায় কেমন প্রভাব ফেলে।’

ইতালির ক্রীড়ামন্ত্রী ভিনসেনজো স্পাদাফোরা এখনই লিগ থামানোর দাবি জানিয়েছেন, ‘আমরা মানুষকে ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে বলছি। সেখানে ফুটবল ম্যাচ স্থগিত না করে আমরা খেলোয়াড়, রেফারি, কোচিং স্টাফ ও সমর্থকদের ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছি। কোনো মানে হয় না।’

আপনার মন্তব্য লিখুন...