এখন ২৫০ গ্রাম মাংস বিক্রি হচ্ছে, তবু ক্রেতা নেই: জি এম কাদের
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ০৫:০৩ পিএম, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩ আপডেট: ০৫:০৩ পিএম, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩
দেশের বেশির ভাগ মানুষই অবর্ণনীয় কষ্টে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, দেশের মানুষের আয় বাড়ছে না। কিন্তু প্রতিদিনই দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলছে। গরুর মাংসের কেজি প্রায় ৮০০ টাকা হয়েছে। এখন ২৫০ গ্রাম মাংস বিক্রি হচ্ছে, কিন্তু ক্রেতা নেই।
জাপা চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় তরুণ পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জি এম কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ সংসার চালাতে পারছেন না। গ্রামের মানুষ বাজার করতে পারছেন না। খুব অল্প মানুষ ভালো আছেন। অবস্থা এমন হয়েছে যে আমদানিকারকেরা চিনির কেজি ৫০০ টাকা ঘোষণা করলে সেই দামেই চিনি কিনতে হবে। সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না।
প্রয়োজনে ভর্তুকি হজের জন্য
হজ পালনে হাজিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ তোলেন জাপা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, দুর্নীতির কারণেই হজযাত্রীদের জনপ্রতি প্রায় সাত লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ পাশের দেশগুলোতে প্রায় অর্ধেক খরচে মানুষ হজ পালন করতে পারছেন। আগে হজের নিবন্ধনের জন্য মানুষ তদবির করতেন, এখন হাজার হাজার মানুষ নিবন্ধন বাতিল করছেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা চাই, নিবন্ধনকারী ১ লাখ ২৭ হাজার জনই যেন হজে যেতে পারেন। প্রয়োজনে হজের জন্য ভর্তুকি দিতে হবে, হজ ফান্ড গঠন করতে হবে। দেশের মানুষ হজের জন্য ফান্ডে টাকা দিতে প্রস্তুত আছেন। দেশের মানুষ সাধ্যমতো সহায়তা দিতে রাজি আছেন। দেশের মানুষ যেন অর্ধেক খরচে হজে যেতে পারেন—সে উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে।’
জাপার চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘কারও স্বার্থ রক্ষার জন্য আমরা রাজনীতি করি না। আমাদের রাজনীতি জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য। জনগণের পছন্দে জনপ্রতিনিধি হতে হবে। আমরা জনগণের সব অধিকার রক্ষা করতেই রাজনীতি করছি। আমরা কোনো দলের বি-টিম নই। আমরা গণমানুষের টিম হতে রাজনীতি করছি।’
মানুষ আ.লীগ ও বিএনপি থেকে মুক্তি চায়: জাপা মহাসচিব
মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেন জাপার মহাসচিব মো. মুজিবুল হক। তিনি বলেন, তারা বারবার ক্ষমতায় গিয়ে ইচ্ছেমতো দেশ চালিয়েছে। দুর্নীতি, লুটপাট, টেন্ডারবাজি ও দলবাজির কারণে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হাত থেকে মুক্তি চান। এই দুটি দলের কথা মানুষ বিশ্বাস করেন না। যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছে, তারাই এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করছে। আবার যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিরোধিতা করেছে, তারাই এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করছে।
মুজিবুল হক বলেন, ‘আমরা ভোটের আনুপাতিক হারে প্রতিনিধি নির্বাচনের পক্ষে। আনুপাতিক হারে নির্বাচন হলেই দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে।’
তরুণ পার্টির আহ্বায়ক জাকির হোসেন মৃধার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম রব্বানী প্রমুখ।