একটা মেয়েকে হত্যা করতে এত আয়োজন
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ০২:০৪ এএম, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৯
নুসরাত হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। এদের মধ্যে এজাহারভুক্ত সাতজন, বাকিরা সন্দেহভাজন।
এছাড়াও এই মামলার অন্যতম প্রধান আসামি নূরউদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম ও আব্দুর রহিম শরীফ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
নুসরাত কে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর Dr. Aminul islam স্যার -
১.নুসরাত হত্যার প্রথম নির্দেশ দেয় ধর্ষক প্রিন্সিপাল সিরাজ।
২. হত্যাকান্ডে খরচের জন্য একজন মাদ্রাসা শিক্ষক (I repeat শিক্ষক) দেয় ৫ হাজার টাকা।
৩. বোরখা, কেরোসিন এসব কেনার জন্য একজন জনপ্রতিনিধি(পৌর কাউন্সিলর মকছুদ) দেয় ১০ হাজার টাকা।
৪.আগুন লাগানোর পর পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি রুহুল আমিনকে যখন ফোনে জানানো হয় পুড়ানো কমপ্লিট- তখন সে শান্ত গলায় বলে, "আমি জানি, তোমরা চলে যাও"
৫. রুহুল আমিন অভয় দেয় থানা পুলিশ প্রশাসন ম্যানেজ করার দায়িত্ব তার।
৬. তদনুসারে শরীরের আশি ভাগ পুড়ে যাওয়া নুসরাত যখন তার বান্ধবীরাসহ কয়েকজন মিলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে, তখন ওসি মোয়াজ্জেম বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতে এটাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেবার চেষ্টা শুরু করে।
৭. মামলার এজহারে পুলিশ কুটচাল শুরু করে, ঘটনা ভিন্ন দিকে নেবার চেষ্টা করে ও নানা তথ্য গোপন করে।
৮. ওসিকে রক্ষার জন্য এসপি জাহাঙ্গীর আলম পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি পাঠায়। ইনিয়ে বিনিয়ে তিনিও এটাকে আত্মহত্যার পক্ষে কথা বলেন।
৯. জেলাপ্রশাসককে জানানো হয়েছিল, স্মারকলিপি দেয়া হয়েছিল তার জীবনের উপর হুমকির কথা জানিয়ে- প্রশাসন কোন সাড়াই দেয়নি।
১০. কয়েকজন সাংবাদিক দায়িত্ব নেয় ঘটনাটা আত্মহত্যা হিসাবে প্রচার করার।
১১. স্থানীয় এমপি নিজাম হাজারী সেই রুহুল আমিনকে নিয়েই নুসরাতদের বাড়ীতে যায় তার বাবামাকে সান্ত্বনা দিতে ও তার কবর জিয়ারত করতে।
সাধারন একটা শক্তিহীন মেয়ে। তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার করে তা আবার তামাদি করে দেবার জন্য শক্তিমান প্রশাসন-পুলিশ-জনপ্রতিনিধি-রাজনৈতিক নেতা-সাংবাদিক-অধ্যক্ষ-শিক্ষকদের আঁতাত কেমন সুনিপুন অর্কেষ্ট্রার মতো কাজ করে গেছে!
এ কেমন শ্বাপদের দেশ আমার আজকের বাংলাদেশ! এ কেমন শুয়োর ইতরদের দেশ এ বাংলাদেশ!
Dr. Aminul islam স্যার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
