সিরাজদিখানে দুধর্ষ ডাকাতের মৃত্যুতে দফায় দফায় আনন্দ মিছিল
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ০৮:০৩ পিএম, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০১৯
পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে কেরাণীগঞ্জ ও সিরাজদিখানের ধলেশ্বরী নদী এলাকার দুধর্ষ ডাকাত সেলিম ওরফে সেইল্লা ডাকাত নিহত হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তার মৃত্যুতে এলাকায় ১২ দিনের মধ্যে পাঁচ দফা আনন্দ মিছিল এবং মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে এলাকাবাসী ১ মার্চ প্রথম আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন। পরবর্তীতে ৪, ৫, ৬ ও ১২ মার্চ আরো চারদফা তারা আনন্দ মিছিল করেন।
মিছিলপরবর্তী এক সমাবেশে এলাকাবাসী বলেন, ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার রুহিতপুর ইউনিয়নের সোনাকান্দা গ্রামের সেলিম ওরফে সেইল্লা ডাকাতের অত্যাচারে সোনাকান্দা ও নদীর অপর তীর সিরাজদিখান উপজেলার রাজানগর, শেখরনগর ও চিত্রকোট ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ ছিল।
সে দীর্ঘদিন থেকে নৌপথে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন, মাটি লুটসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিল। সিরাজদিখানের রাজানগর এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে ডাকাতিকালে ১ মার্চ থানা পুলিশের একটি টহল দলের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সেলিম নিহত হয়। তার মৃত্যুতে এলাকাবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।
গত মঙ্গলবার উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর বাজারে এলাকাবাসীর আয়োজনে আনন্দ মিছিল করে। এ সময় রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন হাদী বলেন, সেইল্লা ডাকাতের মৃত্যুতে এলাকার মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে। নৌপথে ডাকাতি ও চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেলিম উরফে সেইল্লা ডাকাত দক্ষিণ কেরানিগঞ্জের সীমানায় অবস্থিত ধলেশ্বরী নদীতীরবর্তী অঞ্চল বিশেষ করে তুলশিখালী, বোয়ালখালী, রাজানগন, সৈয়দপুর, শেখেরনগর, চিত্রকোর্ট এলাকাসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ডাকাতি করতো। প্রতি মাটির ট্রলারে তাকে দৈনিক ১০০০ টাকা চাঁদা দিতে হতো। অন্যথায় ট্রলার চালকদেরকে ধরে নিয়ে চরে তুলে অমানুষিক নির্যাতন করতো। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে তার দলবল দুই জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলকে ত্রাসের রাজ্য হিসেবে বেছে নেয়।