Oops! It appears that you have disabled your Javascript. In order for you to see this page as it is meant to appear, we ask that you please re-enable your Javascript!
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩  |  Thursday, 30 March 2023  |  এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

ভালো ঘুমের জন্য যেমন বিছানা–বালিশ প্রয়োজন


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ১০:০৭ এএম, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২   আপডেট:   ১০:০৭ এএম, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২  
ভালো ঘুমের জন্য যেমন বিছানা–বালিশ প্রয়োজন
ভালো ঘুমের জন্য যেমন বিছানা–বালিশ প্রয়োজন

ভালো ঘুমের জন্য আদর্শ বিছানা ও বালিশের বিকল্প নেই। বিছানা ও বালিশ ঠিক না হলে ঘুমের ব্যাঘাতের পাশাপাশি হতে পারে শারীরিক সমস্যাও। সঠিক বালিশের ব্যবহার না হলে ঘাড়, পিঠ, কোমর, নিতম্ব, কাঁধ, হাঁটুসহ বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা হতে পারে। এমন সমস্যা হতে পারে বিছানার কারণেও।

বালিশ
ফোম ব্যবহার না করে তুলার বালিশ ব্যবহার করাই ভালো। বালিশ বেশি উঁচু হবে না, আবার খুব নিচুও হবে না। কে কীভাবে ঘুমায়, তার ওপর নির্ভর করে বালিশ নির্বাচন করতে হবে। এমনভাবে বালিশ ব্যবহার করতে হবে, যেন মেরুদণ্ড সোজা থাকে। সাধারণত বালিশের উচ্চতা চার থেকে ছয় ইঞ্চি হতে পারে। তবে শারীরিক গঠন অনুযায়ী বালিশের উচ্চতা বাড়তে পারে। শক্ত বালিশ ব্যবহার করা ভালো। যেসব বালিশে মাথা একেবারে ডুবে যায়, সেগুলোর ব্যবহারে মেরুদণ্ডের অবস্থান ঠিক থাকে না।

কাত হয়ে, চিত হয়ে এবং কেউ উবু হয়ে—এ তিনভাবে ঘুমাই আমরা। কাত হয়ে ঘুমালে বালিশ একটু উঁচু হতে হবে, যেন মেরুদণ্ড বিছানার সমান্তরাল থাকে। এ ছাড়া কাত হয়ে ঘুমালে দুই হাঁটুর মাঝখানে বালিশ দিয়ে শোয়া ভালো। এতে মেরুদণ্ড সাপোর্ট পাবে।

অনেকে মাথার নিচে দুটো বালিশ দেয়। এটি ঠিক নয়। এতে মাথা উঁচু হয়ে থাকে এবং কাঁধে ব্যথা হতে পারে। একটি বালিশ ব্যবহার করাই ভালো। এ ছাড়া চিত হয়ে ঘুমালে হাঁটুর নিচে একটি বা দুটো বালিশ রাখা যেতে পারে। আর উবু হয়ে ঘুমালে একটু পাতলা বা নরম বালিশ ব্যবহার করতে হবে; এই বালিশের উচ্চতা কম হলে ভালো হয়।

এক থেকে দেড় বছরের বেশি কোনো বালিশ ব্যবহার করা ভালো নয়। দুই বছর পর বালিশ পরিবর্তন করা প্রয়োজন।

বিছানা
শক্ত ও সমান বিছানায় ঘুমানো উচিত। ফোম বা স্পঞ্জের বিছানা চাপ লাগলে সহজেই দেবে যায়। এমন বিছানা স্বাস্থ্যকর নয়। বরং শক্ত জাজিমের ওপর পাতলা তোশক বিছিয়ে ঘুমাতে পারেন। পুরোনো জাজিমও চাপ লাগলে দেবে যেতে পারে। তাই জাজিম পুরোনো ও নরম হয়ে গেলে বদলে ফেলা উচিত। সেটা না পারলে জাজিমের ওপর হার্ডবোর্ড দিয়ে এর ওপর একটা পাতলা তোশক বিছিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

পিঠ বাঁকা করে ঘুমানো ঠিক নয়। এতে পরবর্তী সময়ে পিঠে ব্যথা হতে পারে। কোলবালিশ নিয়ে খুব বাঁকা হয়ে ঘুমালেও পিঠ ব্যথা হতে পারে। মেরুদণ্ড খুব বেশি না বাঁকিয়ে যেকোনো পাশে কাত হয়ে ঘুমানো ভালো। যাঁদের ঘাড়ে ব্যথা, তাঁরা ঘাড়ের নিচে ছোটদের কোলবালিশ ব্যবহার করতে পারেন। ঘাড়ে ব্যথা হলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে এই বালিশ ব্যবহার করতে পারেন।

বিছানা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। সপ্তাহে একবার বিছানার চাদর ও বালিশের কভার গরম পানিতে ধুয়ে নিন। তোশক-জাজিম বা ম্যাট্রেস মাসে একবার কড়া রোদে সারা দিন রাখুন।

*লেখক: অধ্যাপক মো. আবু সালেহ আলমগীর, বাংলাদেশ পেইন, ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (বিপিআরসি), মালিবাগ মোড়, ঢাকা

জীবন-যাপন থেকে আরও পড়ুন

সুস্থতা ঘুম স্বাস্থ্য চিকিৎসা ভালো ঘুম ভালো থাকুন বিছানা বালিশ আদর্শ বিছানা বালিশ

আপনার মন্তব্য লিখুন...