ঢাকা, শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩  |  Friday, 9 June 2023  |  এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার ১


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ০৮:০৯ পিএম, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট:   ০৮:০৯ পিএম, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১  
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার ১
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার ১

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় বুদ্ধিপ্রতিন্ধী এক তরুণীকে (২০) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে সালিস করে ২৫ হাজার টাকায় মীমাংসার চেষ্টাও হয়েছিল। পরে পুলিশ জানতে পারায় মামলা হয়। ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে স্থানীয় লোকজন আজ মঙ্গলবার বিকেলে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।

মামলার এজাহার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার তরুণীদের বাড়ি উপজেলার একটি গ্রামে। তরুণী শৈশব থেকে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। বাবা বেঁচে নেই। তিনি ও তাঁর মা এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন। ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে ওই তরুণী প্রতিবেশী সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্যের বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ওই সদস্য বাইরে ছিলেন। ঘরে ইউপি সদস্যের ১২ বছর বয়সী মেয়ে ছিল। একপর্যায়ে আবদুল আলী (৪০) নামের প্রতিবেশী এক ব্যক্তি ইউপি সদস্যের ঘরে ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। ইউপি সদস্যের মেয়ে দেখে ফেললে আবদুল দ্রুত সটকে পড়েন। পরে ইউপি সদস্য বাড়িতে ফিরলে শিশুটি তাঁকে ঘটনাটি জানায়।

এরপর ইউপি সদস্য তরুণীকে ডেকে এনে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি তা স্বীকার করেন। ইউপি সদস্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানান। এ ব্যাপারে ওই দিন রাতেই তাঁর বাড়িতে সালিস বসে। সালিসে আবদুল অপরাধ স্বীকার করেন। এ সময় সাদা কাগজে তাঁর একটি সইও নেওয়া হয়। সালিসকারীরা তরুণীর ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৫ হাজার টাকা ধার্য করে, তা আবদুলকে দিতে বলেন। আর্থিক সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।

খবর পেয়ে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পরে রাত ১২টার দিকে তরুণী বাদী হয়ে ধর্ষণের চেষ্টায় আবদুল এবং ঘটনাটি সালিসে নিষ্পত্তির চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় সাত ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও সাত-আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এলাকাবাসী আবদুলকে আটক করেন। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় বলেন, আবদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তদন্ত করে অন্য আসামিদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মুঠোফোনে বলেন, তরুণী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তাঁর ও আবদুলের জবানবন্দি শুনে তিনি তাঁদের পুলিশের কাছে পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তরুণীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আপসে বিষয়টি মিটমাটের প্রস্তাব দেন। এ কারণে আইনানুগ প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হননি। সালিসে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন।

এজাহারে সালিসকারী হিসেবে আছকির আলী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির নাম রয়েছে। অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

আপনার মন্তব্য লিখুন...