বিয়ের দাবিতে অনশনরত কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০৮ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট ২০১৮
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিয়ের দাবিতে অনশন করে আসছিলো হুসনেয়ারা খাতুন নামে এক কলেজছাত্রী। ছোট পওতা গ্রামের প্রভাবশালী হাসান আলীর ছেলে মাসুদ রানার বাড়িতে ৪ দিন ধরে অনশন করছিল সে।
বৃহস্পতিবার ইউএনও এসএম ফেরদৌস ইসলাম ও থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান অনশনরত হুসনেয়ারাকে ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ওই রাতেই কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে হুসনেয়ারা।
বৃহস্পতিবার ইউএনও এসএম ফেরদৌস ইসলাম ও থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান অনশনরত হুসনেয়ারাকে ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ওই রাতেই কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে হুসনেয়ারা।
হুসনেয়ারা খাতুন উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের বস্তুল গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে ও তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের বিএ শেষ বর্ষের ছাত্রী।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী মেডিকেল কর্মকর্তা আব্দুল মাজিদ জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে হুসনেয়ারাকে গুরুতর অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন স্বজনরা। পরে তার পেট থেকে দ্রুত কীটনাশক বের করা হয়েছে। এখন সে আশঙ্কামুক্ত।
হুসনেয়ারা জানান, মাসুদের সঙ্গে তার ৬ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। এরই মধ্যে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাসুদ তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।সোমবার সে মাসুদের বিয়ের খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করে। অনশনের ৪ দিন পর ইউএনও এবং ওসি তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ইউএনও কার্যালয়ে বসে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন জানান, তিনিও ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছিলো। ছেলের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে সরিয়ে দেওয়ার কারণে হয়তবা নিরুপায় হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ইউএনও এসএম ফেরদৌস ইসলাম জানান, শনিবার বিকেলে দুইপক্ষ নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে