বিদায় কিংবদন্তী কফি আনান
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ০৫:০৮ এএম, শনিবার, ১৮ আগস্ট ২০১৮
১৯৯৭ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত জাতিসংঘ মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালনকালে বিশ্বশান্তিতে অবদানের জন্য ২০০১ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন কফি আনান।
ইরাকে মার্কিন অভিযানের সময় বিপক্ষে অবস্থান নেন কফি আনান । ওই অভিযানকে 'অবৈধ' অভিযান বলে বর্ণনা করেছিলেন মি. আনান।
সবশেষ মিয়ানমার রাখাইনে দমন-পীড়ন চালিয়ে রোহিঙ্গা সংকট তৈরি করলে দেশটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ কমিশন গঠনের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা চালান কফি আনান। তার নামে গঠিত আনান কমিশনের সুপারিশমালা ব্যাপক প্রশংসিত হয় বাংলাদেশসহ বিশ্ব দরবারে।
১৯৩৮ সালের ৮ এপ্রিল তৎকালীন ব্রিটিশশাসিত ঘানার কুমাসি শহরে জন্মগ্রহণ করেন কফি আনান। তার মা-বাবা উভয়ের পরিবারই উপজাতি গোষ্ঠীর শীর্ষ পর্যায়ের পরিবারের সদস্য ছিলেন। এরমধ্যে বাবা ছিলেন আবার শিক্ষিত। সে হিসেবে উপজাতীয় ও আধুনিক-উভয় সংস্কৃতি গায়ে মেখেই বড় হন আনান।
ঘানার একটি আবাসিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পর তিনি কুমাসির কলেজ অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে পড়াশোনা করেন। ২০ বছর বয়সে স্কলারশিপ পেয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার ম্যাসালেস্টার কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে অর্থনীতি বিষয়ে আন্ডারগ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। তখন থেকেই আন্তর্জাতিক বিষয়াদিতে দক্ষ হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আনান যেন বিশ্বজয়ী কূটনীতিক হওয়ার জানান দিচ্ছিলেন।
১৯৬১ সালে তিনি ওই কলেজ থেকেই অর্থনীতি উচ্চতর ডিগ্রি নেন। যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার পাঠ চুকে আনান সুইজাল্যান্ডের জেনেভায় চলে যান। সেখানে তিনি গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব ইন্টারনশ্যানাল অ্যান্ড ডেভেলেপমেন্ট স্টাডিজে অর্থনীতির ওপরই আরেকবার স্নাতক ডিগ্রি নেন।