Oops! It appears that you have disabled your Javascript. In order for you to see this page as it is meant to appear, we ask that you please re-enable your Javascript!
ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩  |  Friday, 31 March 2023  |  এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

ফ্রিল্যান্সিংয়ের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ০৪:০৪ এএম, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২   আপডেট:   ০৪:০৪ এএম, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২  
ফ্রিল্যান্সিংয়ের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ
ফ্রিল্যান্সিংয়ের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ

ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং। এই মুক্ত পেশায় তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ বেশি। ঘরে বসে বিদেশের তথ্যপ্রযুক্তির নানা কাজ করে আয় করেন ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশাজীবীরা। কিন্তু শুরুটা কীভাবে করতে হবে, ফ্রিল্যান্সার হতে কী জানতে হবে—এ নিয়ে দ্বিধা অনেকের। অনেকে সঠিক দিকনির্দেশনাও পান না। ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, এ ব্যাপারে আগ্রহ আছে—এমন পাঠকদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদন। 

বিশ্বজুড়ে দিন দিন বাড়ছে ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশাজীবীদের কাজের পরিমাণ। কারণ, বেশির ভাগ উন্নত দেশেই স্থায়ী কর্মীর বদলে আউটসোর্সের মাধ্যমে কাজ করানোর বিষয়টি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ, আউটসোর্স করলে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা খরচ কম হওয়ায় লাভের পরিমাণ বেশি হয়। এ জন্য উন্নত বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠানই বর্তমানে তাদের কাজের কিছু অংশ নিয়মিত আউটসোর্স করে। ফলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশাজীবীদের চাহিদাও বাড়ছে।

ফ্রিল্যান্সিং কাজের ধরন
বর্তমানে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে সাধারণত দুই ধরনের কাজ বেশি করেন ফ্রিল্যান্সাররা। রিমোট ও প্রকল্পভিত্তিক কাজ। রিমোট কাজ বলতে দূর থেকে কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করাকে বোঝায়। এ পদ্ধতিতে কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার মতোই প্রতি মাসে ১৪০ থেকে ১৬০ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। দিন দিনই এ ধরনের কাজের চাহিদা বাড়ছে। কারণ, অনলাইনে কাজ করিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকায় সরাসরি কর্মী নিয়োগ দিতে হয় না প্রতিষ্ঠানগুলোকে। ফলে অফিস পরিচালনা ব্যয় কম হয়। ফ্রিল্যান্সারদের কাছেও এ ধারনের কাজ বেশ জনপ্রিয়। কারণ, অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নিয়মিত কাজ খোঁজার চেয়ে রিমোট কাজ বেশ স্বচ্ছন্দে করা যায়। এতে নিয়মিত আয়ও করা যায়। বর্তমানে ছোট প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অনেক বড় প্রতিষ্ঠানও রিমোট কাজের জন্য কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজে সুযোগ নিশ্চিতভাবে বৃদ্ধি পাবে।

অনলাইন মার্কেটপ্লেসের প্রকল্পভিত্তিক কাজের পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা প্রায় সবাই কমবেশি জানি। এ ধরনের কাজগুলো (গ্রাফিকস, ওয়েব, ভিডিও সম্পাদনা, নিবন্ধ লেখা, অনলাইন সহকারী ইত্যাদি) মূলত ব্যক্তিগত প্রকল্প হিসেবে পরিচিত। এসব কাজ করার জন্য অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনেক দক্ষ কর্মী থাকায় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই নিজেদের কাজগুলো আউটসোর্স করে থাকে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে, অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ দেওয়ার আগেই ফ্রিল্যান্সারদের কাজের অভিজ্ঞতা, মান এবং সফলতার হার দেখা যায়। ফলে সহজেই দক্ষ কর্মী খুঁজে পাওয়া যায়। বিষয়টি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিই। ধরুন, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান একটা ওয়েবসাইট তৈরি করবে। যুক্তরাষ্ট্রে ওয়েবসাইটটি তৈরি করতে ৫ থেকে ১০ হাজার ডলার খরচ হলেও একই কাজ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ২ থেকে ৪ হাজার ডলারের মধ্যে করানো সম্ভব। এ জন্য ওয়েবসাইটটি তৈরি করতে আগ্রহী ফিল্যান্সারদের বিস্তারিত তথ্য পর্যালোচনা করে দক্ষ কর্মী নিয়োগ দিতে পারবে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে কম খরচে নিজেদের প্রয়োজনমতো ওয়েবসাইট তৈরি করা যাবে। ক্লায়েন্ট এবং ফ্রিল্যান্সার—উভয়ই লাভবান হওয়ায় অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া যায় যেভাবে
অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজের পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে একই কাজের জন্য কয়েক শ ফ্রিল্যান্সার নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করছেন। ফলে চাইলেই ইচ্ছেমতো কাজ পাওয়া যায় না অনলাইন মার্কেটপ্লেসে। ক্লায়েন্টরাও চায় কম খরচে দক্ষ ব্যক্তির মাধ্যমে কাজ করিয়ে নিতে। ফলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ পেতে হলে নিজেকে নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ করার পাশাপাশি নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে হবে। ক্লায়েন্টের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের পাশাপাশি কাজ নির্দিষ্ট সময়ে জমা দিতে হবে আপনাকে। মনে রাখতে হবে, কাজের মান খারাপ হলে ক্লায়েন্ট আপনাকে কম রেটিং দেবে, যা দেখে অন্য ক্লায়েন্টরা আপনাকে আর কোনো কাজ দেবে না। একাধিকবার কম রেটিং পেলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপনি আর কাজ করতে পারবেন না।

অনলাইনে কাজ করার মার্কেটপ্লেস  
নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনার দক্ষতা থাকলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার জন্য খুব বেশি চিন্তা করতে হবে না। শুরুতে কাজের পরিমাণ বা আয় কম হলেও ধীরে ধীরে কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। এ জন্য অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার পাশাপাশি আপনি যে কাজে দক্ষ, সে বিষয়ে হালনাগাদ প্রযুক্তি সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে।

লেখক: আপওয়ার্ক টপ রেটেড প্লাস ফ্রিল্যান্সার

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি থেকে আরও পড়ুন

প্রযুক্তি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

আপনার মন্তব্য লিখুন...