ঢাকা, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩  |  Wednesday, 27 September 2023  |  এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

নুসরাত হত্যা: নির্দেশদাতা সিরাজ, আগুন দেয় ৪ জন, গ্রেফতার ১৩


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ১০:০৪ পিএম, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০১৯    
নুসরাত হত্যা: নির্দেশদাতা সিরাজ, আগুন দেয় ৪ জন, গ্রেফতার ১৩
নুসরাত হত্যা: নির্দেশদাতা সিরাজ, আগুন দেয় ৪ জন, গ্রেফতার ১৩

অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা করে নুসরাত আলেম সমাজকে হেয় করেছে বলে মনে করে হত্যাকারীরা। 
 
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার নির্দেশদাতা ছিলেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ১৩ জন সংশ্লিষ্ট ছিলেন। নুসরাতের গায়ে সরাসরি আগুন দেয় চার জন। নুসরাতের শরীরে আগুন দিয়ে মাদ্রাসার মূল গেট দিয়েই পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর হেড কোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। ব্রিফিং করেন পিবিআইয়ের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৩

নুসরাত জাহান রাফির গায়ে অগ্নিসংযোগ করে হত্যার ঘটনার সঙ্গে ১৩ জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত সাত জন এবং সন্দেহভাজন হিসেবে ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।নুসরাতের গায়ে সরাসরি আগুন দেয় যে চারজন তার মধ্যে এক নারীসহ দুই জনকে চিহ্নিত করা গেছে। সে নারীর পরিচয় প্রকাশ করেনি পিবিআই। এছাড়া দুইজনের একজন শাহাদাত হোসেন শামীমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাকে এখনও পিআইবির কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। সিবিআই তাকে নিয়ে সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকজনের গ্রেফতারের অভিযানে আছে। পুরো ঘটনায় দু'জন নারীর সম্পৃক্ততা পেয়েছে পিবিআই।  


গ্রেফতারকৃতরা হলেন

এজাহারভুক্ত সাত জন গ্রেফতার আছে। তারা হলো- মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা (৫৫), মাদ্রাসার ছাত্র নুর উদ্দিন (২০) ও শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম (৪৫), জোবায়ের আহম্মেদ (২০), জাবেদ হোসেন (১৯) এ আফতার উদ্দিন। সন্দেহভাজন যে ছয় জন গ্রেফতার আছে তারা হলো কেফায়েত উল্লাহ জনি, সাইদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, উম্মে সুলতানা পপি, নূর হোসেন ও আলাউদ্দিন।

এছাড়া মামলার এজাহারে নাম উল্লেখ থাকা হাফেজ আব্দুল কাদের পলাতক আছে। বাকি পাঁচ জনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

হত্যার পরিকল্পনা যেভাবে হয়

পিবিআইয়ের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার জানান, গত ৪ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার সঙ্গে কারাগারে দেখা করে কয়েকজন। এদের মধ্যে ছিল শাহাদাত হোসেন শামীম, জাবেদ হোসেন, হাফেজ আব্দুল কাদেরসহ আরও কয়েকজন। দেখা করার পর সিরাজের নির্দেশে হত্যার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শামীম নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার প্রস্তাব দেয়। কীভাবে হত্যা করা হবে পরে নুরউদ্দিন ও শামীমের নেতৃত্বে তার বিশদ পরিকল্পনা করা হয়।


পিআইবি জানায়, দুই কারণে নুসরাতকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা। অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা করে নুসরাত আলেম সমাজকে হেয় করেছে বলে মনে করে তারা। আরেকটি কারণ হলো শামীম দীর্ঘদিন ধরে নুসরাতকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। নুসরাত তা বারবারই প্রত্যাখ্যান করছিল। এই ক্ষোভ থেকে শামীম তাকে পুড়িয়ে হত্যার প্রস্তাব দেয়। দুই কারণ মিলিয়ে নুসরাতকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষা শুরুর আগে থেকেই ওই মাদ্রাসায় লুকিয়ে ছিল হত্যাকারীরা। সাইক্লোন শেলটারের ছাদে দুটি টয়লেটে লুকিয়ে ছিল তারা। চার হত্যাকারীর মধ্যে যে মেয়েটি ছিল সেই মেয়েই বাকি তিনজনকে বোরকা ও কোরোসিন এনে দেয়। আর চম্পা নামের একটি মেয়ে (পঞ্চম জন) পরীক্ষার হলে গিয়ে নুসরাতকে বলে তার বান্ধবি নিশাতকে মারধর করা হচ্ছে। এই কথা শুনে নুসরাত দৌড়ে ছাদে যায়। এরপর তার হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।     

হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া চারজন এবং নুসরাতকে ডেকে ছাদে নিয়ে আসা চম্পা অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর সবার সামনে দিয়েই মাদ্রাসার মূল গেট দিয়ে পালিয়ে যায়। নুর উদ্দিন ও হাফেজ আব্দুল কাদেরসহ পাঁচ জন আগে থেকেই গেটে পাহারা দিচ্ছিল। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পর সবাই গা ঢাকা দেয়।


অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা করে নুসরাত আলেম সমাজকে হেয় করেছে বলে মনে করে হত্যাকারীরা। 
 
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার নির্দেশদাতা ছিলেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ১৩ জন সংশ্লিষ্ট ছিলেন। নুসরাতের গায়ে সরাসরি আগুন দেয় চার জন। নুসরাতের শরীরে আগুন দিয়ে মাদ্রাসার মূল গেট দিয়েই পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর হেড কোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। ব্রিফিং করেন পিবিআইয়ের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৩

নুসরাত জাহান রাফির গায়ে অগ্নিসংযোগ করে হত্যার ঘটনার সঙ্গে ১৩ জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত সাত জন এবং সন্দেহভাজন হিসেবে ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন

এজাহারভুক্ত সাত জন গ্রেফতার আছে। তারা হলো- মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা (৫৫), মাদ্রাসার ছাত্র নুর উদ্দিন (২০) ও শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম (৪৫), জোবায়ের আহম্মেদ (২০), জাবেদ হোসেন (১৯) এ আফতার উদ্দিন। সন্দেহভাজন যে ছয় জন গ্রেফতার আছে তারা হলো কেফায়েত উল্লাহ জনি, সাইদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, উম্মে সুলতানা পপি, নূর হোসেন ও আলাউদ্দিন।

এছাড়া মামলার এজাহারে নাম উল্লেখ থাকা হাফেজ আব্দুল কাদের পলাতক আছে। বাকি পাঁচ জনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

হত্যার পরিকল্পনা যেভাবে হয়

পিবিআইয়ের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার জানান, গত ৪ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার সঙ্গে কারাগারে দেখা করে কয়েকজন। এদের মধ্যে ছিল শাহাদাত হোসেন শামীম, জাবেদ হোসেন, হাফেজ আব্দুল কাদেরসহ আরও কয়েকজন। দেখা করার পর সিরাজের নির্দেশে হত্যার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শামীম নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার প্রস্তাব দেয়। কীভাবে হত্যা করা হবে পরে নুরউদ্দিন ও শামীমের নেতৃত্বে তার বিশদ পরিকল্পনা করা হয়।

পিআইবি জানায়, দুই কারণে নুসরাতকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা। অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা করে নুসরাত আলেম সমাজকে হেয় করেছে বলে মনে করে তারা। আরেকটি কারণ হলো শামীম দীর্ঘদিন ধরে নুসরাতকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। নুসরাত তা বারবারই প্রত্যাখ্যান করছিল। এই ক্ষোভ থেকে শামীম তাকে পুড়িয়ে হত্যার প্রস্তাব দেয়। দুই কারণ মিলিয়ে নুসরাতকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।


৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষা শুরুর আগে থেকেই ওই মাদ্রাসায় লুকিয়ে ছিল হত্যাকারীরা। সাইক্লোন শেলটারের ছাদে দুটি টয়লেটে লুকিয়ে ছিল তারা। চার হত্যাকারীর মধ্যে যে মেয়েটি ছিল সেই মেয়েই বাকি তিনজনকে বোরকা ও কোরোসিন এনে দেয়। আর চম্পা নামের একটি মেয়ে (পঞ্চম জন) পরীক্ষার হলে গিয়ে নুসরাতকে বলে তার বান্ধবি নিশাতকে মারধর করা হচ্ছে। এই কথা শুনে নুসরাত দৌড়ে ছাদে যায়। এরপর তার হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।     

হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া চারজন এবং নুসরাতকে ডেকে ছাদে নিয়ে আসা চম্পা অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর সবার সামনে দিয়েই মাদ্রাসার মূল গেট দিয়ে পালিয়ে যায়। নুর উদ্দিন ও হাফেজ আব্দুল কাদেরসহ পাঁচ জন আগে থেকেই গেটে পাহারা দিচ্ছিল। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পর সবাই গা ঢাকা দেয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন...