ঢাকা, শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩  |  Friday, 9 June 2023  |  এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

ছুরিকাঘাতে নিহত আবদুল রব ‘থাবা কামলা’ দলের সদস্য


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ০১:১২ এএম, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১   আপডেট:   ০১:১২ এএম, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১  
ছুরিকাঘাতে নিহত আবদুল রব ‘থাবা কামলা’ দলের সদস্য
ছুরিকাঘাতে নিহত আবদুল রব ‘থাবা কামলা’ দলের সদস্য

রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে নিহত আবদুল রব ‘থাবা কামলা’ দলের সদস্য ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার আসাদ গেট এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত হন তিনি। থাবা দিয়ে মোবাইল ও অন্যান্য জিনিস ছিনতাই করায় মোহাম্মদপুর এলাকায় ছিনতাইকারীদের দলটি ‘থাবা কামলা’ হিসেবে পরিচিতি পায়।

ছুরিকাহত হওয়ার পর এক দিন বেঁচে থাকলেও, আবদুল রব পুলিশের কাছে এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। এরপর গ্রেপ্তার অভিযানে নামে পুলিশ। সোমবার আবদুল রবের বাসা থেকেই গ্রেপ্তার হন ক্যান্ডি। সোমবারই যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার হন রনি ও রিংকু। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, ছিনতাই করা মোবাইল নিয়ে ভাগ-বাঁটোয়ারায় দ্বন্দ্ব হওয়ায় দলের অন্য সদস্যরা আবদুল রবকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন।

মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। এদিকে পুলিশ আবদুল রবকে ছিনতাইকারী দলের সদস্য বললেও, পরিবারের দাবি, তিনি বাসচালকের সহকারী ছিলেন। 

পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে আসাদ গেট–সংলগ্ন এলাকায় আবদুল রবকে কুপিয়ে জখম করে ফেলে যায় একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় তাঁর সঙ্গে রুবেল নামের এক ব্যক্তিও ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় আবদুল রব ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর স্বজনেরা দাবি করেন, তিনি নিউমার্কেটে কাপড় কিনতে যাওয়ার পথে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। তাঁর কাছ থেকে ছিনতাইকারীরা মুঠোফোন ও তিন হাজার টাকা নিয়ে যান।

এ ঘটনায় নিহত আবদুল রবের স্বজনেরা শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পেলেও, ঘটনাস্থলের কোনো ফুটেজ পায়নি পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশ আবদুল রবের পরিবারের লোকজন ও রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁদের কথাবার্তায় গরমিল পাওয়া গেলে তদন্তে নামে পুলিশ।

অনুসন্ধানের একপর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার দিন সাভারের বলিয়ারপুরের বাসা থেকে মোবাইল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে বের হন দলনেতা রুবেল ও রব। 

মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড়ে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন দলের অন্য সদস্য রনি, ক্যান্ডি ওরফে কন্ডি ও রিংকু। মোবাইল থাবা দিয়ে ছিনিয়ে নেওয়ায় রনির বিশেষ ‘পারদর্শিতা’ আছে। ওই দিন তিন রাস্তার মোড় থেকে আসাদ গেট পর্যন্ত থাবা দিয়ে চারটি মোবাইল পায় ‘থাবা কামলা’ দলটি।

পুলিশ জানায়, মোবাইলের ভাগ–বাঁটোয়ারা নিয়ে আগে থেকে রুবেল, রনি ও আবদুল রবের দ্বন্দ্ব ছিল। ওই দিন ছিনতাই করা চারটি মোবাইলের একটি আবদুল রবের পছন্দ হয়। তিনি সেটি নিতে চাইলে, অন্যদের সঙ্গে ঝগড়া লেগে যায়। তখন বাকিরা একজোট হয়ে আবদুল রবকে শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রনি ও রুবেল চাকু দিয়ে আবদুল রবকে আঘাত করেন। কেউ যেন তাঁদের সন্দেহ না করে, সে জন্য দলের অন্য সদস্যরা চিৎকার করতে থাকেন। এমনকি পুলিশও ডেকে আনেন তাঁরাই।

অপরাধ থেকে আরও পড়ুন

অপরাধ পুলিশ ঢাকা ছিনতাই

আপনার মন্তব্য লিখুন...