কোরআন অবমাননার অভিযোগে সেফাতউল্লাহ'র বিরুদ্ধে মামলা
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ১০:০৪ পিএম, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০১৯
আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, ফেসবুকে লাইভে এসে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনকে নিয়ে অবমাননামূলক বক্তব্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করেন সেফাতউল্লাহ।
ফেসবুক লাইভে এসে ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনকে অবমাননা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কূরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগে অস্ট্রিয়া প্রবাসী সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদার বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন এক আইনজীবী।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে ঢাকা বারের আইনজীবী মো. আলীম আল রাজী (জীবন) এ মামলাটি দায়ের করেন বলে জানিয়েছে ।
বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে (সিটিটিসি) আগামী ১৫ মে’র মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শুনানিতে অংশ নেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ওয়াকিলুর রহমানসহ আরও অনেকে।
আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, ফেসবুকে লাইভে এসে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনকে নিয়ে অবমাননামূলক বক্তব্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করেন সেফাতউল্লাহ। তারা আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিসহ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার আদেশ দাবি করেন। শুনানি শেষে বিচারক তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৯ এপ্রিল বাদী ফেসবুকে দেখতে পান যে, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা প্রবাসী সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে পবিত্র আল কোরআন বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের বাজে মন্তব্য করেন। যা সমগ্র ইসলামী বিশ্বকে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছে। লাইভটি ভাইরাল হওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
এছাড়াও আসামি সেফাতউল্লাহ বিভিন্ন সময় লাইভে এসে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অশ্লীল, আক্রমণাত্মক ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও কটূক্তি করেছেন। এ ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনের ২৫, ৩১, ২৯ ধারায় অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করা হয়।
জানা যায়, মামলার আসামি সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদা চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার ১৩নং সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড চেড়িয়ারা গ্রামের মৃত হাজী আলী আকবরের ছেলে। তার এক সন্তান রয়েছে। তিনি ইংল্যান্ডে থাকেন। স্ত্রী থাকেন ঢাকায়। প্রায় ২২ বছর আগে সেফুদা অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় চলে যান।