ঢাকা, রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩  |  Sunday, 28 May 2023  |  এখন সময়:

Advertise@01680 34 27 34

করোনার চিকিৎসায় নজর এখন খাবার বড়ি ও স্প্রের দিকে


অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত:   ০৭:১১ এএম, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১   আপডেট:   ০৭:১১ এএম, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১  
করোনার চিকিৎসায় নজর এখন খাবার বড়ি ও স্প্রের দিকে
করোনার চিকিৎসায় নজর এখন খাবার বড়ি ও স্প্রের দিকে

করোনাভাইরাসের টিকা যাতে নাকে স্প্রে করার মাধ্যমে ও মুখে খাওয়ার বড়ি হিসেবে ব্যবহার করা যায়, সে দিকে এখন নজর দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

এমনটিই গত মঙ্গলবার জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন। তাঁর ভাষ্য, তাঁর নজর এখন করোনা টিকার ‘দ্বিতীয় প্রজন্ম’-এর দিকে, যা নাকে স্প্রে আকারে এবং মুখে বড়ি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, করোনার এই জাতীয় টিকাগুলো সহজে সরবরাহ ও সংরক্ষণ করা যাবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ১২৯টি প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় প্রজন্মের এ টিকা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল (মানবদেহে পরীক্ষা) রয়েছে। আরও ১৯৪ প্রতিষ্ঠান এ ধরনের টিকার উন্নয়ন ঘটাচ্ছে ও পরীক্ষাগারে ট্রায়াল দিচ্ছে। 

সৌম্য স্বামীনাথন আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে এসবের মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠানের টিকা বেশ নিরাপদ ও কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হবে। ফলে আমরা শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর টিকাটি বেছে নিতে পারব।’

সৌম্য স্বামীনাথন আরও বলেন, যদি দ্বিতীয় প্রজন্মের টিকা তৈরির প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত প্ল্যাটফর্মগুলো করোনার টিকা তৈরিতে ব্যর্থও হয়, তাতে কোনো ক্ষতি নেই। কারণ, এসব প্ল্যাটফর্ম ভবিষ্যতে অন্যান্য সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবহার করা যাবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ পর্যন্ত সাতটি প্রতিষ্ঠানকে জরুরি ভিত্তিতে করোনার টিকা (ইনজেকশন) ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসন, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক এবং ভারত বায়োটেক। এ প্রসঙ্গে সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানকে এ টিকা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তারা কেউই তাদের টিকা শতভাগ কার্যকর, তা দাবি করেনি। তিনি আরও বলেন, চলমান পরিস্থিতে ৯০ শতাংশ কার্যকর টিকা পাওয়ার বিষয়টিও বিস্ময়কর।

আন্তর্জাতিক থেকে আরও পড়ুন

করোনা চিকিৎসা মহামারি উপসর্গ উত্তোরণ

আপনার মন্তব্য লিখুন...