ইসি গঠনের আলোচনায় মানুষের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই: আমির খসরু
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ০৩:১২ পিএম, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ আপডেট: ০৩:১২ পিএম, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, হঠাৎ করেই জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন গঠনের আলোচনার প্রতি মানুষের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। কারণ, এই আলোচনা মানে ভোট ডাকাতির আলোচনা। এই ভোট ডাকাতির প্রকল্পের আলোচনায় যাঁরা যাবেন, তাঁরা ভোট ডাকাত হিসেবে অথবা ভোট ডাকাতির সাহায্যকারী হিসেবে পরিচিত হবেন।
আজ বুধবার বিকেলে নরসিংদীতে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত দলীয় জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, এই সরকারকে জনগণ আর চাচ্ছে না। তারা বাংলাদেশের আত্মাকে বিক্রি করে দিয়েছে। এখন বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠছে। নরসিংদীর এই জনসমাবেশে মানুষের ঢল দেখেই তা বোঝা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব। আমরা তাঁকে মুক্ত করব, উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করব এবং তাঁর নেতৃত্বেই সরকারের পতন ঘটাব।’
শহরের চিনিশপুর এলাকায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে একটি ট্রাক রেখে এর ওপর দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেন অতিথি ও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা সভাপতি খায়রুল কবির খোকনের সভাপতিত্বে জনসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই সরকার পুলিশ দিয়ে কেন্দ্র দখল করে ভোট ছিনিয়ে নিয়েছে। মানুষ এখন ঘৃণা করে আওয়ামী লীগকে। এখন যেই নির্বাচন কমিশন গঠন করার চিন্তা করছে সরকার, তা না করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা সভাপতি খায়রুল কবির খোকন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সভা-সমাবেশ করার অধিকার পবিত্র সংবিধানে দেওয়া হয়েছে। অথচ তারা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিতে চায়। আজ আমাদের এই জনসভা হওয়ার কথা ছিল শহরের পৌর ঈদগাহ মাঠে। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় এই সরু গলিতে অল্প পরিসরে এই জনসভা করতে হচ্ছে। আমরা এমন বাংলাদেশ চাইনি।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আকরামুল হাসান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
জনসভায় নেতা-কর্মীরা বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে জনসভায় আসেন। প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের এই জনসভা বেলা আড়াইটায় শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। এ সময় শতাধিক পুলিশ সদস্য সভাস্থলের আশপাশে অবস্থান নেন।